১১ ও ১৪ জুলাই ভুটানের থিম্পুতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দু’টি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। ফ্লাইট জটিলতায় এই সূচিতে ভুটানে গিয়ে খেলতে পারছেন না সাবিনা খাতুনরা। বিষয়টি ইতোমধ্যে ভুটানকেও জানিয়েছে বাফুফে। 

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ফ্লাইট জটিলতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঢাকা থেকে থিম্পুর ফ্লাইট সংখ্যা কম এবং যে ফ্লাইট রয়েছে এতে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন নেই। ভুটান ফুটবল ফেডারেশন আমাদের জন্য চাটার্ড বিমানের উদ্যোগ নিয়েছিল। সেটা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের মধ্যবর্তী সপ্তাহে ভুটানে গিয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়।’

ভুটানে ফ্লাইট সংকট একটি বড় বিষয়। সাফ এজন্য ভুটানে অনেক টুর্নামেন্টে স্বাগতিক হিসেবে নির্বাচন করে না। বাফুফে নারী ফুটবল কমিটি ২৬ জুন অনলাইন সভায় যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন এই বিষয়টি তেমন ভাবেনি। নিজেদের অদূরদর্শীতার ফলে এখন সাবিনাদের আরেকটি ফিফা উইন্ডো বাতিলের পথে। 

ভুটানে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারছে না। জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ও নেপালকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা আছে ভুটানের। এতে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে কি না এই প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নারী ফুটবল কমিটির পরবর্তী সভায় ঠিক হবে বাংলাদেশ দলের পরবর্তী ম্যাচ খেলার বিষয়টি।’ 

সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। অক্টোবরে নেপালের কাঠমান্ডুতে আবারও নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশের জন্য এটি শিরোপা ধরে রাখার মিশন। সাফের আগে প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ জুনের প্রথম সপ্তাহে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দু’টি ম্যাচ খেলেছিল। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার পর জুলাই উইন্ডোতে খেলা ঠিক করতে পারেনি। লেবাননে আমন্ত্রণ থাকলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দল পাঠানোর সবুজ সংকেত দেয়নি। তাই বাফুফে বাধ্য হয়ে ভুটানে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেটিও এখন ভেস্তে যাচ্ছে। গত এক বছরে বাফুফে নারী দলের আমন্ত্রণ ও বিদেশি দলের আগমন নিয়ে যত সংবাদ দিয়েছে, এর অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়নি।

এজেড/এএইচএস