কলম্বিয়ার দাপুটে দিনে সমতায় প্রথমার্ধ পার ব্রাজিলের
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখে ব্রাজিলের ভক্তরা কিছুটা হলেও স্বান্তনা পেতেই পারেন, আমাদের একজন রাফিনিয়া ছিল। পুরো প্রথমার্ধের চাপের মুখে থেকেও ব্রাজিলের লিড নেয়ার মূল কারিগর তো বার্সেলোনায় খেলা এই উইঙ্গার। ম্যাচের ১২ মিনিটে তার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক জালে না জড়ালে এখন পর্যন্ত পিছিয়েই থাকতে পারতো ব্রাজিল। পুরো প্রথমার্ধে চাপের মুখে থেকেও ব্রাজিল নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে রাফিনিয়ার ওই গোলের কল্যাণেই।
কলম্বিয়া ঠিক কতখানি আগ্রাসী ছিল তা বোঝা যায় ম্যাচ পরিসংখ্যান থেকে। তারকায় ঠাসা ব্রাজিল যেখানে গোলে শট নিতে পেরেছে মোটে ৩ বার, সেখানে কলম্বিয়ার শট ৮ বার। বল দখলেও ঢের এগিয়ে ছিল তারা। ড্যানিয়েল মুনোজ শেষ সময়ে গোল করে বলতে গেলে নিজেদের প্রাপ্য ফলটাই উসুল করেছেন কলম্বিয়ার জন্য।
বিজ্ঞাপন
কোপা আমেরিকায় শরীরী ফুটবল দেখা গিয়েছে আগেও। কলম্বিয়া ম্যাচেও অব্যাহত থাকলো সেটা। ম্যাচের শুরুতেই হামেস রদ্রিগেজকে ফাউল করে বসেন ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাতে হলুদ কার্ডও দেখেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই তারকা। যার ফলে মিস করবেন কোয়ার্টার ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটাও।
এরপরেই ম্যাচে রাফিনিয়ার ম্যাজিকাল মোমেন্ট। ডিবক্সের অনেকটা বাইরে ফ্রিকিক আদায় করে ব্রাজিল। সেখান থেকে ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারের দুর্দান্ত এক বাঁকানো ফ্রিকিক। কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ক্যামিলো ভারগাসের কোনো সুযোগই ছিল না সেই ফ্রি-কিক ঠেকাবার। ব্রাজিলের লিড আসে সেখানেই। ম্যাচে দোরিভাল জুনিয়রের শিষ্যদের নিয়ন্ত্রণও হারায় সেখান থেকেই।
হামেস রদ্রিগেজ আগেই ভয় ধরিয়েছিলেন নিজের দুর্দান্ত ফ্রিকিকে। সেটা ক্রসবারে লেগে চলে যায় গোললাইনের বাইরে। এবার আরেক ফ্রিকিক। ৬ মিনিটের ব্যবধানে লিড হারাল সেলেসাওরা। কিন্তু ভাগ্য ভাল গোল করার সময় জেফারসন লারমা ছিলেন অফসাইডে। তবে গোল বাতিলের ক্ষুধাই যেন আরও তাঁতিয়ে তুলেছিল হামেস-দিয়াজদের। একের পর এক আক্রমণে ব্রাজিল রক্ষণের নাভিশ্বাস তুলেছিল তারা।
অবশ্য দুই দল এই পর্যায়ে কিছুটা শরীরী ফুটবলও খেলেছে। হজম করেছে দুইটি করে হলুদ কার্ড। রাফিনহা এবং রিচার্ড রিওস একাধিকবারই ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। কার্ড দেখে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যান কলম্বিয়ার জেফারসন লারমাও।
এরইমাঝে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে এসে ব্রাজিলকে বিপদে ফেলে দেন ড্যানিয়েল মুনোজ। ডানপ্রান্তে ওভারল্যাপ করেছিলেন ক্রিস্টাল প্যালেসের এই রাইটব্যাক। হামেস রদ্রিগেজ নিজেই খানিকটা সরে এসে জায়গা করে দেন তাকে। গোলের জন্য পাসটাও বাড়িয়েছিলেন কলম্বিয়ান নাম্বার টেন। সহজ এক পাস থেকে অ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করতে বেগ পেতে হয়নি মুনোজের। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
জেএ