থামলো জর্জিয়ার যাত্রা। প্রথমবার ইউরো খেলতে এসেই তারা উপহার দিয়েছিল অসামান্য এক যাত্রার। পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে, চেক প্রজাতন্ত্রের মতো দলকে বিদায় করে উঠেছিল শেষ ১৬ এর লড়াইয়ে। প্রথমবার খেলতে আসা দলের জন্য এমন এক অর্জন বলার মতোই বটে। কিন্তু সেকেন্ড রাউন্ডে এসেই শেষ হলো এই যাত্রার। 

জার্মানির কোলনে জর্জিয়াকে রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে স্পেন। ৪-১ গোলের জয়ে পা রেখেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল চিরায়ত টিকিটাকার সঙ্গে যোগ করেছে গতিশীল ফুটবল। উইং থেকে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে। লামিনে ইয়ামালের মতো তরুণরা স্পেনের খেলায় যোগ করেছেন বাড়তি মাত্রা। 

জর্জিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও ছিল তেমনই গতিশীল ফুটবলের ঝলক। কোলনে যদিও শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল স্পেন। ১৮ মিনিটে রবিন লে নরমান্দের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে গেলেও তাতে স্পেনকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলা যায়নি। একে একে স্পেনের হয়ে চারটি গোল করেছেন রদ্রি, ফাবিয়ান রুইস, নিকো উইলিয়ামস ও দানি ওলমো। 

স্পেনের এই জয়ে নিশ্চিত হলো কোয়ার্টার ফাইনালের আরেকটি সূচি। ইউরোর প্রথম কোয়ার্টারের এই সূচিকেই বলা যায় ক্ল্যাশ অব টাইটান্স। জার্মানি এবং স্পেন, দুই হেভিওয়েট দল মুখোমুখি হচ্ছে ৫ তারিখের কোয়ার্টার ফাইনালে। এবারের আসরের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক এবং সফল দুই দল স্পেন এবং জার্মানি। 

দুই দলই ইউরোতে এসেছে তারুণ্যনির্ভরতা নিয়ে। জার্মানিতে জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান ভির্টজরা আলো ছড়াচ্ছেন। স্পেনের আছেন লামিনে ইয়ামাল, পেদ্রিরা। রাউন্ড অব সিক্সটিনে জর্জিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই দলে ২৭ এর বেশি বয়সের খেলোয়াড় ছিলেন মোটে ৪ জন। আর ত্রিশের বেশি বয়সের খেলোয়াড় কেবল অধিনায়ক মোরাতা আর ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। 

এবারের আসরে সর্বোচ্চ ৩ গোল এসেছে জার্মানির জামাল মুসিয়ালার পা থেকে। সর্বোচ্চ দুই অ্যাসিস্ট আবার স্পেনের লামিনে ইয়ামালের। সবচেয়ে বেশি এক্সপেক্টেড গোল ছিল জার্মানির হাভার্টজের। অন্যদিকে গড়ে গোলমুখে সবচেয়ে বেশি শট স্পেনের দানি অলমোর। 

পরিসংখ্যানের ছোট এই তথ্যগুলোই জানান দিচ্ছে রাউন্ড অভ সিক্সটিনের এই পর্ব পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা দুই দল স্পেন এবং জার্মানি। গ্রুপপর্ব থেকেও সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট তুলেছে এই দুই দলই। গোল করার দিক থেকেও তারাই সবার চেয়ে এগিয়ে। 

এদিনে স্লোভাকিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টারে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ডও। গ্যারেথ সাউথগেটের দল শেষ আটের লড়াইয়ে খেলবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। সুইসরা এরইমাঝে বিদায় করেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। শেষ আটে সেখানেও জমাট এক লড়াইয়ের প্রত্যাশা করতেই পারেন ফুটবল ভক্তরা। 

জেএ