আর্জেন্টিনা এবং চিলি ম্যাচ যেন আরও একবার উসকে দিলো লাতিন অঞ্চলের রেফারি বিতর্ক। বিগত দেড় দশকে শরীরী ফুটবলের কারণে বেশ অনেকবারই নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন লাতিন অঞ্চলের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা। ব্যতিক্রম হয়নি চিলি এবং আর্জেন্টিনার গ্রুপপর্বের ম্যাচেও। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি থাকার পরেও একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে বিতর্ক। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স, ফেসবুকসহ প্রায় সব প্লাটফর্মেই চলছে সমালোচনা। তবে আলোচনার তুঙ্গে আছেন নিকো গঞ্জালেস। পুরো ম্যাচে দারুণ ওয়ার্করেট দেখিয়েছিলেন এই লেফট উইঙ্গার। কখনো আক্রমণে সাহায্য করেছেন, কখনোবা নিচে নেমে এসে নিকোলাস টালিয়াফিকোর সঙ্গে রক্ষ্মণ সামাল দিয়েছেন। 

যদিও ভাইরাল তিনি হয়েছেন ৬১ মিনিটের এক ফাউলের সুবাদে। বামপ্রান্তে তার পরীক্ষা নিয়েছিলেন চিলির রাইটব্যাক মাউরিসিও ইসলা। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে তাকে ড্রিবল করে সামনে এগুতে চেয়েছিলেন নিকো। বল পার করলেও ইসলার ট্যাকেলে মাঠে পড়ে যান আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গার। ইসলা এরপরই বল রিকোভারি করতে চেয়েছিলেন। 

সেইসময়েই নিকো গঞ্জালেস জন্ম দেন ম্যাচের অন্যতম আইকনিক মোমেন্টের। পড়ে গিয়েও ইসলার গোড়ালি চেপে ধরেন তিনি। যা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। 

যদিও ম্যাচে এই ফাউলের জন্য হলুদ কার্ড দেখতে হয়নি নিকো গঞ্জালেসকে। ডিফেন্সিভ হাফে এই জন্য ফ্রিকিক পেয়ে যায় চিলি। তবে কার্ড না দেখানোর কারণে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সমালোচনাও সইতে হচ্ছে কনমেবলকে।  

গঞ্জালেস অবশ্য আরও একটি মনে রাখার মতো মুহূর্ত উপহার দিতে পারতেন। এই ফাউলের ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগেই বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তার জোরালো শট ক্লদিও ব্রাভোর হাতে লেগে ঠেকে ক্রসবারে। ম্যাচে লিড নেয়ার সুযোগ হারায় আর্জেন্টিনা। পরে অবশ্য তাকে বদলি করা হয় ম্যাচের ৭৩ মিনিটে। 

আলবিসেলেস্তেরা এই ম্যাচে জয়সূচক গোল পায় ৮৮ মিনিটে গিয়ে। বদলি নামা লাউতারো মার্তিনেজ জটলার মাঝে বল পেয়ে জয়সূচক গোল এনে দেন। সেই গোলও অবশ্য ভিএআরের সিদ্ধান্তের পরেই বুঝে পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন কোপার কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করে লিওনেল মেসিরা। 

জেএ