কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে কোপা আমেরিকায় শুভসূচনা করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এমন শুরুর পরও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। মাঠের কৃত্রিম টার্ফের কারণে ফুটবলাররা বেশ ভুগেছেন ম্যাচটিতে, তাই আলবিসেলেস্তেদের প্রধান এই মাস্টারমাইন্ড আটালান্টার বেঞ্জ স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। একইভাবে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এবং ক্রিস্টিয়ান রোমেরো।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে পাওয়া জয়ে একটি করে গোল করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্টিনেজ। এদিন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৩৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেছেন এই মহাতারকা। জয় নিয়ে ফিরলেও, তাদের এখন ভাবনায় ফেলেছে মাঠে কৃত্রিম টার্ফের ওপর বসানো নতুন ঘাস।

ম্যাচের ভেন্যু মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামটি আমেরিকান লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব আটালান্টার। সাধারণত তাদের মাঠে সবসময় কৃত্রিম টার্ফে খেলা হয়। তবে প্রায় সব দেশের ফুটবলাররা এমন পিচে অভ্যস্ত না হওয়ায়, কোপার জন্য কৃত্রিম টার্ফের ওপর নতুন করে প্রাকৃতিক টার্ফ বসানো হয়েছে। কিন্তু অস্থায়ী এই পিচই সমস্যায় ফেলেছে ফুটবলারদের। যে কারণে মাঠে বেশ কয়েকবার হোঁচট খেয়ে পড়েছেন রদ্রিগো ডি পল ও লিয়েন্দ্রো পারেদেসরা। বলতে পারেন তাতে ভূমিকা ছিল ফাউলের, কিন্তু টার্ফও তাতে বাড়তি যোগান দিয়েছে বলেই মন্তব্য আর্জেন্টাইনদের।

ক্রীড়াভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকম বলছে, মাত্র পাঁচদিন আগে অস্থায়ী ঘাস বসানো হয় মাঠটিতে। এর আগেই সেখানে কৃত্রিম টার্ফে খেলেছিল স্বাগতিক ক্লাব আটলান্টা ও হিউস্টন ডায়নামো। তবে কোপা আসরের শুরুতেই এমন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ায় লাতিন ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্কালোনি। তার মতে, আর্জেন্টাইন ফেডারেশন জানতো ৬ মাস আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল কোপার পুরো আয়োজন।

সর্বশেষ কোপা ও বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ বলেন, ‘আমরা সাত মাস আগে জেনেছি, যেসব মাঠে খেলা হবে তার ঘাস পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু এগুলা বসানো হয়েছে মাত্র দু’দিন আগে। আমরা ভালো কোনো কোর্টে খেলিনি। এটি অনেকটা আরাবিয়ার (সৌদি) মতো, তবে পার্থক্য হচ্ছে সেখানে আমরা উপযুক্ত মাঠে খেলেছি। এটার মতো ছিল না অন্তত।’

একইভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার রোমেরো। টটেনহামের এই তারকা বলেন, ‘স্টেডিয়ামটি সুন্দর, তবে মাঠের অবস্থা খুবই বাজে। এ ধরনের বড় আসরে এমন মাঠে খেলা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।’ অন্যদিকে, গোলরক্ষক দিবু মার্টিনেজ বলেন, ‘এই পিচ ভালো নয়, কিছু জায়গা অসমান, আবার কোথাও খুব শক্ত। আমরা কিছুটা গতিসম্পন্ন পিচ পছন্দ করি, যা আমাদের খেলার ধরনের সঙ্গে যায়। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে কোপা ইউরো কাপের নিচেই থেকে যাবে!’

প্রথম জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট টেবিলে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ২৫ জুন খেলবে পেরুর বিপক্ষে এবং কানাডা দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে চিলির।

এএইচএস