ইউরোপিয়ান ফুটবল বোধহয় এভাবেই দর্শকদের উন্মাদনা ফিরিয়ে দেয়। গ্রুপ অভ ডেথে আলবেনিয়াকেই সমীকরণ থেকে ছিটকে ফেলা হয়েছিল সবার আগে। স্পেন, ক্রোয়েশিয়া আর ইতালির গ্রুপে আলবেনিয়ার বিদায়টাই ছিল অনুমেয়। 

কিন্তু আলবেনিয়া যেন ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। আগের ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে ইউরো ইতিহাসের দ্রুততম গোলের রেকর্ড করেছিল তারা। এবার শিরোপার অন্যতম দাবিদার ক্রোয়েশিয়াকে রুখেই দিয়েছে। ২-২ গোলের ড্রয়ে ক্রোয়েটদের শিরোপা স্বপ্নটাও খেয়েছে ধাক্কা। 

পুরোটা সময় জুড়েই ম্যাচের ফলাফল পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। আলবেনিয়া এদিনও পেয়েছে আর্লি লিড। তবে ক্রোয়েশিয়ার অভিজ্ঞতা আর কামব্যাক মেন্টালিটি তাদের ফিরিয়েছে ম্যাচে। তারা ৩ মিনিটে দুই গোল করে লিড পায় ম্যাচ শেষের মিনিট দশেক আগে। 

কিন্তু জয়ের অপেক্ষায় প্রহর গুণতে থাকা ক্রোয়েশিয়াকে অবশ্য আলবেনিয়া হতাশ করেছে। ৯৫ মিনিটে গোল করে গ্যালারিতে জমা হওয়া সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিয়েছে তারা। 

১১তম মিনিটেই আলবেনিয়া লিড পায় কাজিম লাসির গোলে। হেডে দীর্ঘকায় ক্রোয়েট গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন তিনি। এরপর থেকে ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে ঠিকই কিন্তু আক্রমণের ধারে আর গুণে এগিয়ে ছিল আলবেনিয়া। লিভাকোভিচের কয়েকটি অসাধারণ সেইভ না থাকলে ক্রোয়েশিয়াকে আরও কয়েক গোল হজম করতে হতো। 

তবে ক্রোয়েশিয়া কামব্যাক করতে জানে। করেছেও। বদলি হিসেবে নামা ক্রামারিচ ৭৪ মিনিটে ভাঙেন ডেডলক। সমতায় ফেরায় ক্রোয়েটদের। ম্যাচের বাকি সময়টায় নায়ক আর ভিলেন দুই চরিত্রেই ছিলেন ক্লাউস জাসুলা। 

আন্তে বুডিমির নীরিহ এক ক্রস করেছিলেন। সেটায় গোল হওয়ার সম্ভবনাই ছিল না। কিন্তু রক্ষণের বিশ্বস্ত সেনানী জাসুলার পায়ে লেগে বল যায় জালে। আত্মঘাতী গোলের সুবাদে ২-১ গোলে পিছিয়ে যায় আলবেনিয়া। কিন্তু ৯৫ মিনিটে এই জাসুলাই ম্যাচে ফেরান আলবেনিয়াকে। বাম প্রান্ত থেকে আসা কাটব্যাকে মাটি কামড়ানো এক শটে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দেন ৩৪ বছর বয়েসী এই ডিফেন্ডার।

জেএ/এইচজেএস