ক্লাব ফুটবলের জনপ্রিয়তার যুগে নির্দিষ্ট দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেন না তারকা ফুটবলাররা। তবে যে দেশের ক্লাবেই খেলুক না কেন, তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বললেও তাতে কোনো সমস্যা হয় না। আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনল মেসিও রোজারিও থেকে বার্সেলোনা, পিএসজি ও ইন্টার মায়ামিতে লগ্নি করলেও, তার মুখের ভাষা ছিল একই ‘স্প্যানিশ’। তবে প্রয়োজনে টুকটাক ইংরেজি যে বলেননি তা–ও নয়, তেমনই একটি মজার ঘটনা জানালেন মেসির মায়ামি সতীর্থ জুলিয়ান গ্রেসেল।

বিশ্বকাপজয়ী আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক ইংরেজি পুরোপুরিই বোঝেন, যদিও ‘বিব্রতকর পরিস্থিতি’ এড়াতে ওই ভাষায় তাকে তেমন কথা বলতে দেখা যায় না। কারণ ফুটবলারদের জন্য প্রায় প্রতিটি ক্লাবই দোভাষী রাখে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষার খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করলেও তাই কোনো অসুবিধা হয় না। তাই বহুভাষীর ভূমিকা নিতে হয় না আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মেসিকেও। 

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি দিয়ে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন মেসি। বর্তমানে তিনি আমেরিকান সকার ফুটবলে (এমএলএস) খেলছেন মায়ামির হয়ে। ফ্লোরিডার ক্লাবটিতেও ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা কথা বলেন মাতৃভাষা স্প্যানিশে। সেখানে আরও বেশ কয়েকজন তারকাও ওই ভাষাতেই কথা বলেন। তবে সম্প্রতি একটি প্রোমোশনাল ভিডিওতে অংশ নিয়ে ‘ব্যাড বয়েজ’ সিনেমায় করা হলিউড তারকা উইল স্মিথের সুরে ইংরেজিতে কথা বলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মাঠেও নাকি তিনি ইংরেজিতে সতীর্থদের সঙ্গে মজা করেন।

মেসির মায়ামি সতীর্থ জুলিয়ান গ্রেসেল

সেই সূত্র ধরেই ওঠে আসে মেসির ইংরেজিতে কথা বলার প্রসঙ্গ। মায়ামিতে তার সতীর্থ জুলিয়ান গ্রেসেল সেই রেশ ধরে জানিয়েছেন মজার অভিজ্ঞতা। আমেরিকান এই ফুটবল তারকা বলেন, ‘মেসি সাধারণত আমার সঙ্গে খুব বেশি কথা বলে না, টুকটাক বললেও সেটি থাকে স্প্যানিশে। আমি সেই ভাষা প্রায় পুরোপুরিই বুঝি। একবার সে আমার কাছে এসে ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করল, যা ছিল ম্যাচ চলাকালে তার বলা প্রথম কোনো ইংরেজি বাক্য। সেটি ছিল খুবই মজার, কারণ এরপরই সে নিজ থেকে বলে ‘‘(আমার) ইংরেজি বেশ ভালো, তাই না?’’’

অন্যদিকে, আরেকটি সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মেসি জানিয়েছিলেন, ‘আমি (ইংরেজিতে) সবকিছু বুঝি, বলতে গেলে পুরো ইংরেজি ভাষা–ই। তবে বিব্রতকর অবস্থায় না পড়তে এ ভাষা তেমন বলা হয় না, তবে আমি মনে করি ভালোই পারি।’

এর আগে আরেক সাক্ষাৎকারে লাতিন আমেরিকান ফুটবলারদের ইংরেজি নিয়ে সংগ্রাম করার কথাও জানিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। ওই সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন, ‘‌আমি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর প্রথম দিনেই মনে হয়েছিল আমি কিছুই জানি না। কিন্তু ইংল্যান্ডে গেলে ইংরেজি ছাড়া সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। ‘‌ইয়েস’, ‘‌নো’‌ দিয়েই কাজ সারতাম। আসল সত্যটা হলো– আমি ইংরেজি কিছুটা বুঝতে পারি, কিন্তু ভাল বলতে পারি না। ভাঙা ভাঙা বলতে পারি। সবমিলে লাতিন আমেরিকার ফুটবলারদের ইংরেজি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’ 

এএইচএস