অবশেষে রিয়ালে এমবাপে
২০১৭ সাল থেকেই যে ঘোষণার জন্য অপেক্ষা, তার পূর্ণতা এলো ২০২৪ সালের জুন মাসে। সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্প্যানিশ ক্লাবটি মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির খবর জানিয়েছে। রিয়ালের আফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য এ খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।’ এক অর্থে বলা চলে, ছেলেবেলার স্বপ্ন সত্যি হলো এমবাপের জন্য।
ফ্রান্স ফুটবলের প্রডিজি বা বিশেষ গুণসম্পন্ন কিশোর কিলিয়ান এমবাপে ২০১৭ সালেই তার সেই সময়ের ক্লাব মোনাকোকে জানিয়েছিলেন, পিএসজি নয়, তিনি যেতে চান রিয়াল মাদ্রিদে। ফুটবলের ইতিহাসের সেরা ক্লাব রিয়ালও নজরে রেখেছিল এই কিশোরের ওপর। তবে রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লেরেন্তিনো পেরেজ যেন খানিক ধৈর্য ধরার পক্ষেই ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পিএসজিতে এমবাপে গিয়েছিলেন ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে। এরপর প্রতি মৌসুমেই কেবল এই দলবদলের গুঞ্জনের ডানা মেলেছে। বহুবারই এমবাপে টু রিয়াল মাদ্রিদ ডিল আটকে ছিল আনুষ্ঠানিকতার জন্য। কিশোর এমবাপে এরপর বিশ্বের সেরা এক তারকা হয়ে উঠেছেন।
এই এমবাপেকে ছেড়ে দিতে চায়নি পিএসজি। অন্তত মোটা অঙ্কের ট্রান্সফার ফি ছাড়া কোনোভাবেই না। ২০০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত হাঁকানো হয়েছিল দাম। কিন্তু ফ্লেরেন্তিনো পেরেজ যেন পাকা ব্যবসায়ী। তিনি অপেক্ষাই করে গেলেন। ধৈর্য রাখলেন। শেষ পর্যন্ত, পেরেজের অপেক্ষা আর এমবাপের মনের প্রবল চাওয়াটাই পূর্ণতা পেল।
আরও পড়ুন
রিয়ালে যোগ দিতে ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে ক্লাবটির সঙ্গে মৌখিকভাবে সম্মত হন। এরপর গত মাসে ফরাসি তারকা জানান, তিনি মৌসুম শেষে পিএসজি ছাড়বেন। চলতি সপ্তাহের শনিবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের ১৫তম শিরোপা জয়ের পর এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তির খবরটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল রিয়াল।
পিএসজির হয়ে ৬ বার লিগ ওয়ান শিরোপা জিতেছেন এমবাপ্পে। ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও খেলেছেন পিএসজির হয়ে। কিন্তু হেরে যেতে হয় বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্স্টের পর প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে করেছেন হ্যাটট্রিক। ১৯৫৮ সালে পেলের পর প্রথম কিশোর ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলের কীর্তি আছে তার।
এমবাপে ধরে রাখার প্রচেষ্টায় একসময় এগিয়ে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২০২২ সালের জুনে এমবাপে টু রিয়াল ডিল যখন প্রায় সম্পন্ন, তখন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্টের অনুরোধেই শেষ পর্যন্ত আরও দুই বছর ফ্রান্সে থেকে যান এমবাপে।
জেএ