আরেকটা বিগ ম্যাচ। আরেকবার ভিনিসিয়ুসের জ্বলে ওঠা। সেমিফাইনালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও নিজের ঝলক দেখালেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। রিয়াল মাদ্রিদের ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের পথে ভিনিসিয়ুস করেছেন ৬ গোল। যার একটি ছিল ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ফাইনালের বড় মঞ্চে। ৮২ মিনিটে ভিনি জুনিয়রের ওই গোলটাই নির্ধারণ করে দিয়েছিল ফাইনালের ভাগ্য। 

বিগত কয়েক মৌসুম থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন ব্রাজিলের এই লেফট উইঙ্গার। দুই বছর আগে ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তারই গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল। প্যারিসের সেই ফাইনালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে হতাশ করেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে এসে হারালেন বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। 

আর এই দুই ফাইনালে গোল করে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা লিওনেল মেসির কীর্তিতে ভাগ বসালেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোলের সময় তার বয়স ছিল ২৩ বছর। ২৪ বছর হওয়ার আগে দুই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোলের কীর্তি আগে ছিল শুধুই মেসির। এবার ভিনিসিয়ুস ভাগ বসালেন মেসির রেকর্ডে। 

ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ব্রাজিলিয়ান গোল পেয়েছেন ম্যাচের ৮২ মিনিটে। বেলিংহ্যামের অসাধারণ পাস থেকে গোল করতে কোনো ভুলই করেননি তিনি। আলতো এক শটে কোবেলকে পরাস্ত করেন তিনি। তার গোলের সুবাদে ২-০ লিডে নিজেদের ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার আরও কাছে চলে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। 

এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের অ্যাসিস্টের দিক থেকেও মেসির সমান অবস্থানে আছেন ভিনিসিয়ুস। এখন পর্যন্ত ইউসিএল নকআউটে মেসির সমান ১২টি অ্যাসিস্ট করেছেন ভিনি। সামনে আছেন রিয়াল মাদ্রিদেরই কিংবদন্তি বনে যাওয়া ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর ১৫ অ্যাসিস্টের রেকর্ড। 

রিয়ালের হয়ে চলতি মৌসুমটাই অবশ্য দারুণ পার করেছেন ভিনিসিয়ুস। জয় করেছেন লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। মৌসুমে ২৩ গোলের পাশাপাশি আছে ৯ অ্যাসিস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬ গোল করে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। সামনে আছে কোপা আমেরিকা। সেখানেও বড় কিছু করার ইঙ্গিতটাই হয়ত দিয়ে রাখলেন ভিনিসিয়ুস। 

জেএ