একদিকে ইতালিয়ান রক্ষণাত্মক কাতেনাচ্চিও আর পজেশন নির্ভর ফুটবলের নিখুঁত ট্যাকটিক্স। অন্যদিকে জার্মানির আদি ঘরানার কাউন্টার অ্যাটাকের কৌশল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ট্যাকটিক্সের অ্যানালাইসিস মোটাদাগে করতে চাইলে এই দুটো লাইন যথেষ্ট। ওয়েম্বলির ফাইনালে অবশ্য প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়েছে জার্মান ক্লাবটিই। যদিও গোলমিসের মহড়ায় লিড আর পাওয়া হয়নি তাদের। 

ফাইনালের শুরু থেকেই দুই দল খেলেছে সাবধানী ফুটবল। অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখা যায়নি কারো দিক থেকেই। যদিও নিজেদের বিখ্যাত ইয়েলো ওয়ালের সামনে বলেই কি না ডর্টমুন্ডকে খানিকটা উজ্জীবিত দেখা গেল শুরুতেই। বল দখলের লড়াইয়ে অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদই আধিপত্য দেখিয়েছে। তবে গোলমুখে আক্রমণে ঢের এগিয়ে ছিল বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।  

প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ মিস করেন ডর্টমুন্ডের হুলিয়ান ব্রান্ট। নিকলাস ফুলক্রুগের ব্যাকপাস রিসিভ করেন ডিবক্সের প্রান্তে থেকে। ভেতরে গেলেও ভারসাম্য হারান খানিকটা। দুর্বল শটটা পোস্টে রাখলে পারলে লিডই পেয়ে যেতে পারত ডর্টমুন্ড। 

২০ মিনিটের মাথায় আরও বড় সুযোগ মিস করে বসেন ডর্টমুন্ডের করিম আদেয়েমি। গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকে একা পেয়েও বল পোস্টে রাখতে পারেননি। মিনিট তিনেক পরেই ফুলক্রুগের পা ছোঁয়া শট ফিরে আসে গোলবার থেকে। যদিও সেটা গোল হলে অফসাইডের ফাঁদে পড়ত কিনা, সেটাও বড় প্রশ্ন। 

রিয়াল যে একেবারেই সুযোগ পায়নি তা না। তবে ফেডে ভালভার্দে এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দুজনেই সুযোগ পেয়ে বল পোস্টেই রাখতে পারেননি। সেটাও অবশ্য ২০ মিনিটের আগে। শেষদিকে খানিকটা শারীরিক শক্তি দেখিয়েছে দুই দল। রিয়ালের ভিনিসিয়ুস আর ডর্টমুন্ডের স্লটারব্যাক দেখেছেন হলুদ কার্ড। 

৪০ মিনিটে আবারও ডর্টমুন্ড কাঁপন ধরায় রিয়ালের রক্ষণে। মার্সেল সাবিটজারের মাটি কামড়ানো সেই দুরপাল্লার শট অবশ্য ফিরিয়ে দেন কর্তোয়া। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থায় টানেলে ফেরে দুই দল। 

জেএ