নারী ফুটবল ও গোলাম রব্বানী ছোটন ছিল সমার্থক শব্দ। এক বছর আগে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ায় নারী দলের কোচের পদে পরিবর্তন আসছে বারবার। সাইফুল বারী টিটুর পর এখন ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার হয়েছেন সাবিনা খাতুনদের কোচ। 

বাফুফে ফুটবল একাডেমির কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসা পিটার এখন সাবিনাদের প্রধান কোচ। এর আগে তিনি লাইবেরিয়াসহ একাধিক জাতীয় দলে কোচিং করিয়েছেন। আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ নারী দলে তার অভিষেক সুখকর হয়নি। চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ০-৪ গোলে। ১০০ ধাপ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার অনুমেয়–ই ছিল। তবে দুর্বল রক্ষণ ও অপরিকল্পিত খেলা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ডিফেন্ডাররা প্রথমার্ধে অতি সাধারণ ভুল করেছেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হওয়ার মতো নয়।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সাবিনাদের নতুন কোচ বেশ উচ্চাশাই প্রকাশ করলেন, ‘ভুল ফুটবল এবং জীবনেরই অংশ। আমি মেয়েদের খেলার ধরন ও প্রয়োগে সন্তুষ্ট। বাংলাদেশের নারী ফুটবল সঠিক পথেই রয়েছে। এভাবে চললে এশিয়ার মধ্যম সারিতে পৌঁছাতে পারবে।’

প্রথমার্ধে সাবিনারা ৩ গোল হজম করে বেশ ব্যাকফুটে ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলোয়াড় বদল করে অবশ্য ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। বিরতির সময় খেলোয়াড়দের মন্ত্রণা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘আমি উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছি। নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রেখে সেরা খেলাটাই খেলতে বলেছি।’

বাংলাদেশের ফুটবল মূলত দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডিতে। ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাফুফে চেষ্টা করেছে এই অঞ্চল থেকে বেরিয়ে উন্নত দেশের সঙ্গে খেলতে। দেড় বছর পর বাস্তবায়ন হয়েছে সেই পরিকল্পনা। এমন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কোচ, ‘ফুটবলে যে কোনো হারই হতাশার। তবে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা কোনো দলের সঙ্গে হারলেও সেটা শিক্ষামূলক। আমি ইতিবাচক মানুষ, এই হার থেকেও দলের প্রাপ্তি রয়েছে।’

আগামী সেপ্টেম্বরে নারীদের সাফ। সেই সাফের আগে নতুন কোচ পিটার বাটলার দলে খানিকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। এর প্রভাব আজকের ম্যাচেও পড়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন নতুন কোচ। চাইনিজ তাইপে দলের কোচ চ্যাংয়ের ভাবনায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল আবহাওয়া। অতিরিক্ত আদ্রর্তার মধ্যেও তার খেলোয়াড়রা চার গোলের জয় পাওয়ায় সন্তোষই প্রকাশ করেছেন।

এজেড/এএইচএস