১৯৮১ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অপরাজিত রিয়াল মাদ্রিদ। আধুনিক যুগের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর পর থেকে জিতেছে ৮ ফাইনালের সবকটি। শেষ তিন বছরে এটা তাদের দ্বিতীয় ফাইনাল। এমন সব অসাধারণ পরিসংখ্যানকে সঙ্গী করে লন্ডনের বিমান ধরেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। আর প্রতিপক্ষ বুরুশিয়ার সঙ্গী দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। যাদেরকে কেউ গণনায় ধরেনি, তারাই গিয়েছে ফাইনালে। 

ফাইনালে আসার পথে ডর্টমুন্ড হারিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের মতো কঠিন দুই প্রতিপক্ষকে। টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্সরা খেলছে সেরার লড়াইয়ে। তবে এই ফাইনালে আছে কিছুটা বিষাদও। ২০১৩ সালে নিজেদের সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে এই মাঠেই হেরেছিল ডর্টমুন্ড। 

দুই দলের কাছেই এই ফাইনালে আছে বাড়তি আবেগ। রিয়ালের হয়ে এই ম্যাচেই শেষবার মাঠে নামবেন কিংবদন্তি টনি ক্রুস। জার্মান এই মিডফিল্ডার আসন্ন ইউরোর পর বুটজোড়া তুলে রাখবেন চিরতরে। সে হিসেবে মাদ্রিদে এটিই তার শেষ ম্যাচ। একই অবস্থা হতে পারে লুকা মদ্রিচ এবং নাচো ফার্নান্দেজের জন্য। 

একই কথা প্রযোজ্য ডর্টমুন্ড শিবিরেও। দীর্ঘদিন ইয়েলো-ব্ল্যাকদের ঘরের ছেলে হয়ে ছিলেন তিনি। এই মৌসুমের পর জানাবেন বিদায়। একই পরিণতি হতে পারে ৩৫ বছর বয়েসী মাটস হুমেলসের জন্য। তাদের জন্যই বিশেষভাবে শিরোপা জিততে চাইবে ডর্টমুন্ড।

তবে দুই দলের লড়াইয়ে ফেবারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নামবে রিয়ালই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বলেই কিনা বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস পাবে লস ব্লাঙ্কোসরা। সেই পালে বাড়তি হাওয়া দেবে সুপার কম্পিউটারের সবশেষ গণনা। ফুটবল পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা অপ্টা অ্যানালাইসিসের সুপার কম্পিউটারের বাজি রিয়ালের পক্ষেই। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে ১০ হাজার ম্যাচ সিমুলেশনে ৯০ মিনিটের ফলাফলে রিয়ালের পক্ষে গিয়েছে ৫৫.৬ শতাংশ ম্যাচ। আর বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পক্ষে গিয়েছে ২১.৪ শতাংশ ম্যাচ। বাকি ২৩ শতাংশ ম্যাচ গিয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও অবশ্য ফেবারিট রিয়ালই। 

সবমিলিয়ে অপ্টার প্রেডিকশনে ৬৭.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে রিয়াল মাদ্রিদকেই বিজয়ী করা হয়েছে। বাকি ৩২.৪ শতাংশে বলা হচ্ছে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড জিতবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। 

মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে খানিকটা ধাক্কাই খেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। মিডফিল্ডার অরেলিন চুয়ামেনি আগেই বাদ পড়ে গিয়েছিলেন পায়ের পাতার হাড় ভেঙে যাওয়ায়। এবার ফাইনালের একদিন আগে ছিটকে গেলেন গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে ফাইনাল মিস করছেন ইউক্রেনের এই গোলরক্ষক।

জেএ