বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে ফিফা ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে। ফেডারেশনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই ব্যক্তির জরিমানা নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে চলছে আলোচনা। ফিফার শাস্তি প্রদানের পর আজ (শুক্রবার) এক বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখা করেছেন সালাম মুর্শেদী। 

আজ দুপুরের পর বাফুফের প্যাডে সালাম মুর্শেদী স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি পাঠানো হয়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ক্রয় প্রক্রিয়ায় চারজন স্বাক্ষরকারীর মধ্যে দুইজনকে ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের সরাসরি জড়িত না থাকায় তাকে খারিজ করা হয়েছে। তবে আমি যেহেতু ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সে কারণেই আমাকে গুনতে হচ্ছে (নূন্যতম সুইস ফ্রাঁ ১০,০০০) আর্থিক জরিমানা।’

ফিফা বাফুফের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই তদন্ত করছিল। সিনিয়র সহ-সভাপতি ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ায় তিনিও ফিফার অভিযোগের তালিকায় ছিলেন। সালাম মুর্শেদীর ওপর ফিফা তিনটি অভিযোগ এনেছিল। সেই তিন অভিযোগের দু’টি তিনি খণ্ডাতে সক্ষম হয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি শুনানির আয়োজন করে। যেখানে আমার বিরুদ্ধে ফিফার অনুচ্ছেদ ১৪, ১৬ ও ২৫ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। উক্ত শুনানিতে আমি নিজেই আমার আইনজীবীদের সঙ্গে উল্লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করার পক্ষে অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি স্থাপন করি। ফলস্বরূপ ৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে ফিফা এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার কর্তৃক গৃহীত পরবর্তী সিদ্ধান্তে আমার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি যথাক্রমে খারিজ করে দেয়।’

৮ ফেব্রুয়ারি সালাম মুর্শেদীর পক্ষে তাহসিন আহমেদ ও শেহরীন সালাম ঐশি আইনজীবী হিসেবে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। ফেডারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন স্বাক্ষী হিসেবে।

সালাম মুর্শেদীর বিবৃতি

আবু নাঈম সোহাগের আগের দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ না হতেই নতুন করে তিন বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। একইসঙ্গে সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে আর্থিক জরিমানাসহ সব ধরনের ফুটবল থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

জরিমানার অর্থ গতকাল থেকে এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সালাম মুর্শেদী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করায় তার পক্ষে অবশ্য ফিফায় ডলারের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য হবে না। তবে আবু হোসেন, মিজান ও সোহাগের আর্থিক জরিমানা প্রদান নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফেডারেশনে আবু হোসেন, মিজান ও সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন। ফিফায় অভিযুক্ত হয়ে দোষী প্রমাণিত হওয়া এবং তারা ফেডারেশন ছাড়ায় গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড ফেডারেশন এখনও আটকে রেখেছে। 

এজেড/এএইচএস