ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচে ৩৬ মিনিটে হঠাৎ-ই হাসি দেখা গেল সিটি সমর্থকদের মাঝে। মুঠোফোনে আর্সেনালের গোল হজমের খবর আসার পরেই এমন হাসি তাদের মুখে। ইদ্রিসা গানার গোলে লিডে যায় এভারটন। শিরোপা রেসে প্রতিপক্ষের তুলনায় এমনিই এগিয়ে ছিল সিটি। আর্সেনালের গোল হজমে সেই কাজ আরও খানিক সহজ হয় তাদের জন্য। 

যদিও প্রথমার্ধ শেষে দুই খেলাতেই খানিক পরিবর্তন আসে। আর্সেনালের হয়ে টমিয়াসু গোল করে সমতা এনেছেন। ১-১ গোলের সমতা চলছে সেখানে আর সিটি ৪০ মিনিটে গোল হজম করেছে। তবে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে এখনও তারা এগিয়ে ২-১ গোলে।  

শেষ ম্যাচের আগে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন, প্রথম দশ মিনিটের মাঝেই তিন গোল চান তার দলের কাছ থেকে। তখনই বোঝা গিয়েছিল আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিতে চলেছে ম্যানসিটি। তবে সেটা যে এত তীব্র হবে, তা হয়ত আঁচ করেননি কেউই। ইত্তিহাদে ম্যাচের ৭৮ সেকেন্ডেই ডিবক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে বসেন ফিল ফোডেন। 

প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের চতুর্থ শিরোপার পথে ম্যানসিটি এগিয়ে যায় তখনই। শেষদিনে ২ পয়েন্টের লিড নিয়ে রেখেছিল তারা। নিজেদের ম্যাচে জয় পেলেই তাই টানা চর্তুথ শিরোপা হাতে পাবে দলটি। সেই পথে অনেকটা কাজ তারা সেরেও রেখেছে নিজেদের মতো করে। 

প্রথম গোলের পরেও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ অব্যাহত রাখে সিটি। ফলটাও আসে ২০ মিনিটের মাঝেই। জেরেমি ডোকুর পাস থেকে দলের ব্যবধান ২-০ করেন ফোডেন। প্রিমিয়ার লিগে বর্ষসেরা খেলোয়াড় ঠিক কেন নির্বাচিত হয়েছেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তা ঠিকই বুঝিয়ে দিয়েছেন এই তরুণ। তবে সিটির ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। কখনো আর্লিং হালান্ড মিস করেছেন সহজ সুযোগ। আবার কখনো কেভিন ডি ব্রুইনার শট ঠেকিয়ে নায়ক হয়েছেন ওয়েস্ট হ্যাম গোলরক্ষক। 

তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে সিটি নিজেই গোল হজম করেছে। কর্ণার থেকে ভাসান বল পেয়ে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে ম্যাচের ব্যবধান কমান ওয়েস্ট হ্যামের মোহাম্মদ কুদুস।  

শিরোপার আরেক দাবিদার আর্সেনাল অবশ্য শুরু থেকে ভালো কিছু করে দেখাতে পারেনি। আক্রমণভাগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বুকায়ো সাকাকে মিস করেছে দলটি। একাধিকবার সুযোগ পেয়েও মিস করেছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় এভারটনই। ইদ্রিসা গানা গাইয়ে ফ্রিকিকে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। যদিও তাদের লিড টিকেছে মোটে ৩ মিনিট। আর্সেনালের তাকেহিরো টোমিয়াসুর গোলে আসে সমতা। 

জেএ