ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২০২৪ কোপা আমেরিকার আসর খেলতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। আগামী ২০ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে লাতিন অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই প্রতিযোগিতা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি ইতোমধ্যে কোপার জন্য ‘বিশেষ’ সমর্থকদের একটি তালিকা তৈরি করে আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠিয়েছে। তবে বিশেষ সুবিধা পেতে নয়, উগ্র সমর্থকদের প্রবেশে বাধা দিতে বলেছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল সিকিউরিটি উগ্রবাদী আচরণ করেন, এমন সমর্থকদের তালিকাটি তৈরি করেছে। এর ফলে এসব ভক্তদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এক টুইট বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বালরিচ। যেখানে তিনি লিখেছেন, উগ্রবাদী আর্জেন্টাইনদের ছাড়াই হবে ২০২৪ কোপা আমেরিকা।

আর্জেন্টাইন এই মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ত্রিবুনাসেগুরা প্রোগ্রামের অধীনে তথ্য সরবরাহ করতে রাজি হয়েছি। যেখানে মাঠে উগ্র আচরণ করা দর্শকদের ফুটবল স্টেডিয়ামে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে চাই। যাতে তাদের কেউই পুরো আসর চলাকালে সেখানে যেতে না পারে।’

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর ভেতর ফুটবল–ক্রিকেটেরও ইভেন্ট রয়েছে। সে কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে দেশটির জাস্টিস এন্ড হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। আর্জেন্টিনার পাঠানো ওই তালিকায় আগে থেকে বিশৃঙ্খল ঘটনার জন্ম দেওয়া ভক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। গত ১ মে আর্জেন্টিনায় ২০২৪ প্রফেশনাল লিগ কাপে স্টুডেন্টস ও বোকা জুনিয়র্সের মধ্যকার খেলায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ম্যাচটি কর্ডোবা প্রদেশের যেখানে হয়েছিল সেখানে বাস যাতায়াতের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে তারা আগুন জ্বালানোর সরঞ্জাম, নেশাজাত দ্রব্যসহ ৫৭ জনকে আট করে। পরবর্তীতে তাদের ‘সেইফ ট্রিবিউন’ প্রোগ্রামের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এদিকে, আর্জেন্টাইন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এক বিবৃতিতে বলছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সেইফ ট্রিবিউন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। যা অধীনে সমর্থকদের বিষয়ে আয়োজকদের আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করব। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে শক্তিশালী চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও আক্রমণাত্মক আচরণ রুখে দিয়ে, খেলা উপভোগের মতো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা।’

এএইচএস