মেসিময় ম্যাচে জয় পেল মায়ামি
আমেরিকার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) দশম রাউন্ডের ম্যাচে ইন্টার মায়ামিকে জিতিয়েছেন দলটির প্রধান তারকা লিওনেল মেসি। ফ্লোরিডার ক্লাবটির প্রতিটি গোলেই ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার অবদান। নিজে করেছেন দুই গোল, আরেকটি গোলে করেছেন অ্যাসিস্ট। ফলে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ন্যাশভিলেকে ৩-১ গোলে হারিয়ে জয়ের মায়ামি জয়ের ধারা ধরে রেখেছে।
ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে আজ (রোববার) ভোরে মুখোমুখি হয় মায়ামি ও ন্যাশভিলে। যেখানে দু’দলই প্রায় সমান পাল্লায় লড়েছে, তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শেষ হাসি হেসেছে মেসি–সুয়ারেজ ও সার্জিও বুসকেটসরা। মায়ামির হয়ে মেসি ছাড়া আরেকটি গোল করেন বুসকেটস। যদিও তারা এদিন ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটেই আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে ছিল। সেখান থেকে কামব্যাকে দলকে জয় এনে দিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
বিজ্ঞাপন
দলের জয় ছাড়াও এদিন এমএলএসের চলতি মৌসুমে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে গেলেন মেসি। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিনি সাতটি গোল করেছেন। তার উরুগুইয়ান সতীর্থ সুয়ারেজসহ আরও পাঁচ ফুটবলার গোল করেছেন ছয়টি করে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি মৌসুমে নয় ম্যাচ খেলে সমান গোল উঠেছে মেসির নামের পাশে।
আজকের ম্যাচে মাত্র দুই মিনিটে আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মায়ামি সমতায় ফেরে ১১ মিনিটে। প্রথমে বক্সে ঢুকে শট নেন মেসি, গোলরক্ষকের হাতে পেয়ে ফিরে এলে কয়েক পা ঘুরে আবারও সুযোগ আর্জেন্টাইন তারকা সুযোগ পেয়ে যান। অনায়াসেই তিনি বলটি জালে জড়িয়ে দেন। এরপর মধ্যবিরতির আগমুহূর্তে কর্নার পায় ফ্লোরিডার ক্লাবটি। মেসির নেওয়া কর্নার কিকটি মাথার আলতো ছোয়াঁয় জালে জড়ান বুসকেটস। আর এর মধ্য দিয়ে সাবেক বার্সেলোনা কিংবদন্তি মায়ামির জার্সিতে নিজের প্রথম গোল পেয়ে যান। আর দলও বিরতিতে যায় লিড নিয়ে।
বিরতির পর আর কেউ গোলের দেখা পাচ্ছিল না। ৮১তম মিনিটে ন্যাশভিলের বক্সে ফাউলের শিকার হন মায়ামি ফুটবলার, এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে গোল করতে ভুল করেননি এলএমটেন। আর তাতেই মায়ামির ৩-১ ব্যবধানে বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের লিগ টেবিলে আবারও শীর্ষস্থানে উঠল মায়ামি। ১০ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১৮। এক ম্যাচ কম খেলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে এরপরই অবস্থান নিউইয়র্ক আরবির। বিপরীতে মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে ন্যাশভিলে, তাদের নিচে আছে আর একটা দল।
এএইচএস