‘সবাই ভেবেছিল আমরা শেষ হয়ে গিয়েছি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ কখনো মরে না।’ কার্লো অ্যানচেলত্তির এই কথায় দম্ভ মিশে থাকতেই পারে। কিন্তু মঞ্চটা যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তখন রিয়াল মাদ্রিদ আসলেই হয়ত মরে না। আধুনিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হিসেবে রেকর্ড ১৭তম বার ফাইনালে উঠেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। আগের ১৬ বার সেমিফাইনালের মধ্যে ৮ বার ফাইনালে গিয়েছে তারা। 

গতকালের ম্যাচের আগে অনেকেই অবশ্য সম্ভাবনার পাল্লায় এগিয়ে রেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটিকেই। এর আগে ইতিহাদে কখনোই জেতেনি রিয়াল মাদ্রিদ। গত মৌসুমে এই সিটির কাছেই বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই এগিয়ে রেখেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। 

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছে মাদ্রিদই। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে তাই অকপটেই বললেন অ্যানচেলত্তি, ‘সবাই ভেবেছিল আমরা বুঝি শেষ হয়ে গিয়েছি। কিন্তু সেটা কেউই করতে পারবে না। রিয়াল মাদ্রিদ কখনো মরে না।’  

এমন চাপের মুখ থেকেও জয় ছিনিয়ে এনে অ্যানচেলত্তি কৃতিত্ব অবশ্য দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে, ‘মাদ্রিদ বহুবার এটা করেছে। মূল ব্যাপারটা এই (মাদ্রিদ) ব্যাজে। শ্যুটআউটে আমাদের মনে হয়েছিল আমরা কোয়ালিফাই করব। আন্দ্রে (লুনিন) দারুণ করেছে। ভালো খেলার পাশাপাশি যখন একটা দল নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে লড়ে, সেটা দারুণ লাগে আমার।’ 

জয় পেলেও গোটা ম্যাচে অবশ্য স্বাগতিকদের আধিপত্যই ছিল বেশি। ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৩৩টি শট নিয়েছে সিটি। তবে অ্যানচেলত্তি নিজে ইতালিয়ান। দলকে খেলিয়েছেন চিরায়ত রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায়। নিজের ট্যাকটিক্সের সমর্থনে রিয়াল ম্যানেজার বললেন, ‘এখান (ইতিহাদ) থেকে বেঁচে ফেরার একটাই উপায়, সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। আমরা সেটা করেছি এরপর রক্ষণভাগ ভালোভাবে সামলেছি। সিটির বিপক্ষে এটা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’ 

পেনাল্টি নিয়েও তৃপ্তি শোনা গেল রিয়াল ম্যানেজারের কণ্ঠে, 'সব পেনাল্টিই দারুণ ছিল। রুডিগারের পেনাল্টিতে অবাক হয়েছি আমরা। পেনাল্টিতে খুব একটা ভালো অনুশীলন করিনি এই মৌসুমে। তবে সবাই দারুণ করেছে।'  

সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখকে। জার্মানির ক্লাবটির সঙ্গে এর আগেও সেমির মঞ্চে দেখা হয়েছে মাদ্রিদের। এমনকি অ্যানচেলত্তি নিজেও ছিলেন বায়ার্নের কোচ। সেমিফাইনালেও হয়ত তাই দেখা মিলবে আরেক ধ্রুপদী লড়াইয়ের। 

জেএ