নিজেদের ম্যাচে ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাজটা সেরে রেখেছিল লিভারপুল। ঘরের মাঠে ২ মিনিটে পিছিয়ে পড়েও লুইস দিয়াজ আর মোহাম্মদ সালাহর গোলে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে নেয় অলরেডরা। রাতের অন্য ম্যাচে মাঠে নামার কথা শিরোপার আর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্সেনাল। এই ম্যাচের ফলাফল হিসেবে হয়ত দুই দলেরই ‘হার’ চাইতেন লিভারপুল বস। 

তবে এক ম্যাচে দুই দলের হার না এলেও, যে ফলাফল এসেছে সেটায় লিভারপুলের কোচ খুশি হবেন নিশ্চিত। ম্যানসিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদে আর্সেনালের সঙ্গে ম্যাচ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রতে। এই ম্যাচের পর তাই এককভাবেই প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে অলরেডরা। দুইয়ে রয়েছে আর্সেনাল। আর তিনে ম্যানসিটি। 

গতকালের ম্যাচের পর প্রিমিয়ার লিগে ২৯ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট ৬৭। সমান ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল, তিনে থাকা সিটির পয়েন্ট ৬৪। এই ম্যাচটা জিতলেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটা ফিরে পেত আর্সেনাল। সিটি জিতলে আর্সেনালকে সরিয়ে দুইয়ে উঠত গার্দিওলার দল। কিন্তু শিরোপা লড়াইয়ে নিজেদের ম্যাচে ড্র করে আপাতত লিভারপুলকে কিঞ্চিৎ স্বস্তি দিলো দুই দল।

পুরো ম্যাচের চিত্রটা খুব চেনা। ম্যানসিটি বল পায়ে রেখে আক্রমণের সুযোগ খুঁজেছে। কিন্তু কোনোক্রমেই তা পারা যায়নি। অন্যদিকে আর্সেনাল চলতি মৌসুমে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিলেও এই ম্যাচে তেমন পরিকল্পনা দেখাই যায়নি। বরং একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতেই সময় পার হয়েছে তাদের।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল আর্সেনাল। দলটির ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস দুবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলপোস্টের বাইরে মেরে সেই সুযোগ নষ্ট করেছেন। সুযোগ পেয়েছিল সিটিও। তবে সেটাও কাজে আসেনি। আর সিটিজেন্সদের বড় ভরসা আর্লিং হালান্ড আরও একটাবার বিগ ম্যাচে করেছেন হতাশ।  

দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনালের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে ম্যানসিটি। কিন্তু ফুটবলে গোল মুখ্য। আর সেটাই পাওয়া হয়নি সিটিজেন্সদের। উল্টো ম্যাচের শেষ দিকে লিয়ান্দ্রো ট্রোসার শট নিয়েছিলেন সিটির গোলমুখে। সেটা গোল হতেও পারত। সিটি গোলরক্ষক স্টেফান ওর্তেগার সেটি ফিরিয়েছেন সহজেই।

জেএ