টাইব্রেকারের আগে কেঁদেছিলেন গোলরক্ষক
টাইব্রেকারে জয়-পরাজয় অনেকটাই নির্ভর করে গোলরক্ষকের উপর। সাফ অ-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মূলত গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগমের পারফরম্যান্সে। ভারতের পাঁচ শটের মধ্যে তিনটি সেভ করেছেন তিনি। তারই নৈপ্যণ্যে ৩-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ইয়ারজান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘আজকে অনেক ভালো লাগতেছে। কোচকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই পর্যায়ে আনার জন্য। প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে সেরা গোলরক্ষক হয়েছি। এতে আমি খুবই আনন্দিত।’
বিজ্ঞাপন
এদিন দলকে শিরোপা এনে দেওয়ার পাশাপাশি ইয়ারজান পেয়েছেন ব্যক্তিগত সাফল্য। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দু’টি গোল হজম করেছে। পাশাপাশি আজকের ফাইনালে টাইব্রেকারে দুর্দান্ত সেভ করেছেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক ইয়ারজান। 'সেরা গোলরক্ষক হওয়ার কৃতিত্ব কাকে দিতে চান ?' এমন প্রশ্নে উত্তরে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,‘ আমার বাবা ও কোচকে দিতে চাই।’
জাতীয় নারী দলের গোলরক্ষক কোচ আরিফুর রহমান পান্নু প্রশংসা করলেন ইয়ারজানের, ‘আসলে আমরা কোচরা পদ্ধতি বা টেকনিক শিখিয়ে দিতে পারি। আজকে জয়ের অবদান সম্পূর্ণ ইয়ারজানের অবদান। ওর ইচ্ছেতেই এটা হয়েছে।’ টাইব্রেকারের সময় ইয়ারজানকে অভয় দিয়েছিলেন কোচ পান্নু, ‘টাইব্রেকারের সময় ও কান্না করছিল। আমি বলেছিলাম, ‘তুমি তোমার মতো খেল। একটা সেভ দাও। তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে।’ সে খেলেছে এবং বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। ওর জন্য শুভ কামনা।’
নারী ফুটবল দলের অবিচ্ছেদ্য কোচিং লিটু-অনন্যা দম্পতি। এবার কাঠমান্ডুতে লিটু গেলেও অনন্যা যাননি। বাফুফের নারী উইং অনন্যার পরিবর্তে মিরনাকে পাঠিয়েছে। তাই এবারের শিরোটা একটু ভিন্ন সহকারী কোচ লিটুর কাছে, ‘নারী ফুটবলের প্রতিটি সাফল্যের সঙ্গেই আমি ও অন্যান্য ছিলাম। এই টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ভালো লাগছে অনেক। অনন্যাকে মিস করছি।’
এজেড/জেএ