৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ পগবা
অ্যান্টি-ডোপিং নীতিমালা লঙ্ঘন করায় ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার পল পগবাকে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছর নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করার অভিযোগ ওঠে জুভেন্তাসের এই তারকার বিরুদ্ধে। এরপর ১০ আগস্ট টেস্টোস্টেরন টেস্ট করা হলে পজিটিভ ফল আসে পগবার। ফলে এখানেই তার ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার শঙ্কা দেখছেন অনেকে।
বেশ কয়েকটি ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তাদের বরাত দিয়ে একই খবর দিয়েছে ফরাসি পত্রিকা লেকিপ। গত ২০ আগস্ট উদানিসের বিপক্ষে জুভেন্তাসের ম্যাচের পর ডোপ টেস্ট করা হয় পগবার। সেখানেই মূলত উচ্চমাত্রায় টেস্টোস্টেরন পাওয়া যায় পগবার শরীরে। যদিও তিনি ওই ম্যাচটিতে খেলেননি।
বিজ্ঞাপন
— Sky Sports News (@SkySportsNews) February 29, 2024
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত সেপ্টেম্বরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই তারকাকে অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার পগবাকে স্থায়ীভাবে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইতালির ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং ট্রাইব্যুনাল (ন্যাডো)। অক্টোবরে ন্যাডো ৩০ বছর বয়সী এই তারকার দেহ থেকে দ্বিতীয় নমুনা নেয় এবং অ্যান্টি-ডোপিং প্রসিকিউটর ন্যূনতম চার বছরের নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়েছিল।
উল্লেখ্য, টেস্টোস্টেরন হলো এক প্রকার হরমোন, যা খেলোয়াড়দের মাঠে আরও বেশি সময় সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে। এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে পগবাকে নতুন করে চার বছরের জন্য দলে ভিড়িয়েছিল জুভেন্তাস। তবে এরপর থেকে বারবার ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। একই কারণে পগবা সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপেও খেলতে পারেননি।
আরও পড়ুন
আগামী ১৫ মার্চ ৩১ বছর পূর্ণ হবে এই ফরাসি মিডফিল্ডারের। ফলে পুনরায় চার বছর পর তার ক্যারিয়ার একই জায়গায় দাঁড়ানো অনেকটা কঠিন হয়ে গেল। তুরিনের ক্লাব জুভেন্তাসের সঙ্গে পগবার চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞায় পড়ার কারণে তার সেই চুক্তিও এখন যেকোনো সময়ে বাতিল হয়ে যেতে পারে। তবে স্পোর্টসের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশনে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন পগবা।
এএইচএস