মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দু’টি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের ২৮ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন স্পেনিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। এই দলে তিন নতুন মুখের একজন শেখ জামালের ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিন। যিনি জাতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার সাদ উদ্দিনের আপন ছোট ভাই।

বাংলাদেশ ফুটবল দলে দুই ভাইয়ের এক সঙ্গে ডাক পাওয়া অবশ্য নতুন ঘটনা নয়। ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অভিষেক হয়। সেই প্রথম দলেই আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই ভাই শরীফুজ্জামান ও নওশেরুজ্জামান। দুই ভাই-ই ঘরোয়া ও জাতীয় পর্যায়ে সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। 

শুধু ফুটবলাঙ্গন নয়, গোটা ক্রীড়াঙ্গনেই দুই ভাইয়ের গল্প আসলে সবার আগে ভেসে উঠে মনোয়ার হোসেন নান্নু ও শামসুল আলম মঞ্জুর কথা। ১৯৭৮ সালে নান্নু আবাহনী ও মঞ্জু মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ এক স্মৃতিময় ছবি। দুই ভাই দুই দলে অধিনায়কত্ব যেমন করেছেন আবার জাতীয় দলেও এক সঙ্গে খেলেছেন। নান্নু ১৯৭৩ সালে অভিষেক দলেই খেলেছেন। তার ছোট ভাই মঞ্জুর জাতীয় দলে অভিষেক হয় পরবর্তী মারদেকা কাপে। 

আশি-নব্বই দশকে দুই ভাই এক সঙ্গে ঘরোয়া লিগে খেলার ঘটনা থাকলেও জাতীয় দলে সেভাবে ছিল না। সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী আরিফ খান জয়ের চার ভাই ঘরোয়া লিগে খেলেছেন। জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন দুই ভাই। জয় ও শুভ্রর এক সঙ্গে অবশ্য খেলা হয়নি। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলির পাঁচ ভাই পেশাদার ফুটবল খেলেছেন।

এক সঙ্গে দুই ভাইয়ের খেলার রেকর্ডও রয়েছে। জাহিদ হাসান এমিলি সেই স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘দশটির বেশি ম্যাচ আমি ও শাকিল এক সঙ্গে খেলেছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল গর্বের বিষয়।’ এমিলি ২০১৬ সালের পর জাতীয় দলে ডাক পাননি। শাকিলের ক্যারিয়ার এমিলি মতো বেশি দীর্ঘ হয়নি। 

এমিলি-শাকিলের পর জাতীয় ফুটবল দলে সহোদর দেখা যায়নি। ২০১৫ সালে সাফ অ-১৫ চ্যাম্পিয়নশীপ দিয়ে সাদ উদ্দিনের উথান। সময়ের বিবর্তনে জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় সাদ। তার ছোট ভাই ঘরোয়া ফুটবল খেলছেন কয়েক বছর। এবার জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন। ছোট ভাইয়ের ক্যাম্পে যোগদানের বিষয় নিশ্চিত হলেও চোট আক্রান্ত সাদের খানিকটা অনিশ্চয়তা রয়েছে।

এজেড/জেএ