লিওনেল মেসির হাত ধরে আমেরিকান মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামি যেন দ্বিতীয় বার্সেলোনায় পরিণত হয়েছে! স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলা সাবেক চার তারকা ফুটবলার এখন খেলছেন মায়ামিতে। যে দলে যোগ দিতে পারেন আরও এক ফুটবলার। যদিও ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপে কৌতিনিয়োকে নিয়ে সেই আলোচনা এখনও গুঞ্জন হিসেবেই রয়েছে। সাবেক এই বার্সা তারকাও এবার মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে।

জানুয়ারি থেকে শীতকালীন দলবদল চলছে ক্লাবগুলোতে। যদিও সেটি ঠিক গ্রীষ্মের দলবদল বাজারের মতো অতটা উত্তপ্ত নয়। তবে তার আগে থেকেই কৌতিনিয়োকে নিয়ে মায়ামিতে যোগদানের গুঞ্জন শুরু হয়। যেখানে মেসির সঙ্গে ইতোমধ্যে পুনর্মিলনী হয়েছে লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেটস ও জর্দি আলবার। তবে ব্রাজিল তারকা নিজের দলবদল নিয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতে কী হবে জানেন না উল্লেখ করে কৌতিনিয়ো বলেন, ‘আমি কেবল বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবছি। আমি ভালো থাকতে চাই, ভালো প্রস্তুতি নিয়ে ভালো খেলতে চাই। উপভোগ করতে চাই ফুটবল। আমরা কখনোই জানি না যে ভবিষ্যতে কী ঘটবে। সবসময়ই আমার নাম খবরের শিরোনাম হতে দেখি, যেখানে তারা ভালো-খারাপ দুটোই লিখে। আমি সেসবে নজর দিই না এবং শুধুমাত্র নিজের বর্তমান কাজ নিয়ে ভাবি এবং সেটাই উপভোগ করতে চাই।’

২০১৮ সালে ক্যাম্প ন্যু’র ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন কৌতিনিয়ো। সেখানে গিয়ে ধীরে ধীরে হারিয়েছেন নিজের সহজাত ছন্দ। অথচ বার্সাতে নাম লেখানোর আগে লিভারপুলের হয়ে ধারাবাহিক ফর্মে ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। জাতীয় দলেও জায়গা হারানো কৌতিনিয়োর বর্তমান ঠিকানা কাতারের ক্লাব আল-দুহাইলি, ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা তাকে সেখানে লোনে পাঠিয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ ফর্মের কৌতিনিয়ো এভাবে অচেনা হওয়ার পেছনে অনেকে তার বার্সাতে যোগ দেওয়ার বিষয়টিকে দায়ী করেন।

যা নিয়ে কৌতিনিয়োর মন্তব্য, ‘বার্সায় যোগ দেওয়ার কারণে অনুতপ্ত কি না? না, কখনোই না। আমি যেরকম ভেবেছি তেমনটা ঘটেনি, মানুষের প্রত্যাশা ছিল, আমিও মাঠে নিজের কাছে ভালো কিছু চেয়েছিলাম। নিজেকে বলেছি যে আরও বেশি কিছু দিতে হবে এবং সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাও করেছি। আমার মনোভাবে সবসময় পেশাদারীত্ব ছিল, তাই কোনো কিছু নিয়েই আমি অনুতপ্ত নই। বার্সাতে খেলা সবসময়ই স্বপ্ন ছিল আমার, আমি উপভোগ করেছি সেখানে, আমার অনেকের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ ছিল। সুযোগ ছিল অনেক টাইটেল জয়ের, যা আমার জীবনে ইতিহাস হয়ে থাকত।’

নিজের হারানো ফর্ম নিয়েও কোনো আক্ষেপ নেই এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের, ‘বার্সাতেও এসেও আমি কিছু পরিবর্তন করিনি। পেছনের সেই সময়ে ফেরাও সম্ভব নয়, কিন্তু আমার কোনো আক্ষেপও নেই। আমি সবসময় অনুশীলনে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি, এখনও তাই করছি এবং ভবিষ্যতেও একইটা করে যাব। যদি সবকিছু ঠিকভাবে যায় তো ভালো, যদি না যায় ধৈর্য ধরব।’

এএইচএস