দুই পেনাল্টিতে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের ড্র
আবাহনী ও মোহামেডান ফুটবল ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য সেই উত্তেজনার দেখা মিলছে না। আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের শেষ রাউন্ড দুই দল মুখোমুখি হয় ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে। তাদের দ্বৈরথ বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দুই পেনাল্টিতে সমতা আনে মোহামেডান। এক পর্যায়ে আবাহনীর ম্যানেজার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে স্টেডিয়ামে আরও উত্তাপ ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
এদিন ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পায় আবাহনী। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ব্রুনো রোকা’র ফ্রি-কিক হাওয়ায় ভেসে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জড়িয়ে যায় জালে। লাফিয়েও নাগাল পাননি মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। ৫৫ মিনিটে আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। ডান প্রান্ত থেকে ব্রাজিলিয়ান ওয়াশিংটনের মাপা ক্রসে তারই স্বদেশি ব্রুনো রোকা হেড নেন। গোলরক্ষক সুজন হোসেন ধরার আগেই এক টাচে পেছনের দিকে নিয়ে দ্রুত জায়গা বদল করে এক টোকায় জাল কাঁপান ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট।
বিজ্ঞাপন
এরপর পেনাল্টি ও কার্ড পর্ব। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। ইমানুয়েল টনিকে পেছন থেকে বাধা দেন মোহাম্মদ হৃদয়। রেফারি সায়মন হাসান সানি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট-কিক থেকে গোল করে ব্যবধান কমান মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। ৭২ মিনিটে আবাহনীর আক্রমণ ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে।
৭ মিনিট পর মোহামেডান আরেকটি পেনাল্টি পায়। থ্রো-ইন থেকে কামরুলের লং বল বক্সের ভেতর আবাহনী এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সানি। রেফারির এমন সিদ্ধান্ত আবাহনীর ডাগ-আউটে মেনে নেতে পারেননি ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম। রেফারি সায়মন তাকে লাল কার্ড দেখান সরাসরি। এ নিয়ে আবাহনীর খেলোয়াড়রাও প্রতিবাদ জানায়। ওই সময় খেলা বন্ধ ছিল কয়েক মিনিট।
খেলা শুরু হওয়ার পর পেনাল্টি থেকে এবারও গোল করেন দিয়াবাতে। বাঁশি বাজানোর আগে শট নেওয়ায় আবারও পেনাল্টি নেওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। পুনরায় নেওয়া শটেও গোল করেন দিয়াবাতে। আট মিনিট ইনজুরি সময়ে আর কোনো গোল হয়নি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে মোহামেডান একমাত্র অপরাজিত দল। মোহামেডান স্পোর্টিং চার জয় ও পঞ্চম ড্রতে ১৭ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে। আবাহনী লিমিটেড ৯ ম্যাচে চতুর্থ জয় ও তৃতীয় ড্রতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে।
এজেড/এএইচএস