দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে ১৯৯০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল জার্মানি। ওই ম্যাচে ম্যাচজয়ী গোলটি এসেছিল জার্মান ডিফেন্ডার আন্দ্রেস ব্রেহমের পা থেকে। যার জন্য তিনি বেশ স্মরণীয়, তাকে বলা হয় বড় ম্যাচের পারফর্মার হিসেবে। সেই বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার ব্রেহমে ৬৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্রেহমের জীবনসঙ্গী সুসানে শাইফারের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে— গতকাল (সোমবার) রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে ব্রেহমে মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি), বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন ‍মিউনিখ ও ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান শোক জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে সুসানে শাইফার বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি যে, আমার জীবনসঙ্গী আন্দ্রেয়াস ব্রেহমে আকস্মিকভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে গতকাল রাতে মারা গেছেন। কঠিন এই সময়ে আমাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বারবার প্রশ্ন না করে গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধ করছি।’

জার্মান সকার লিজেন্ডদের ‘হল অব ফেমে’ জায়গা পাওয়ার পর সম্মানজনক পুরস্কার হাতে ব্রেহমে

আরেক সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ট বিল্ড’ জানিয়েছে, ‘হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে ব্রেহমেকে মিউনিখের স্থানীয় জিমসেনট্রাসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’ 

ব্রেহমে জার্মানির হয়ে ৮৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। নানা পজিশনে খেললেও মূলত তিনি ছিলেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। তবুও তার নামের পাশে আছে ৮ গোল, যার মধ্যে ৫টিই ছিল বিশ্বকাপে। আন্দ্রেয়াস ব্রেহমেকে তাই বড় ম্যাচের পারফরমার হিসেবে মনে রেখেছে জার্মান ফুটবল। জার্মানির হয়ে তিনবার ইউরো (১৯৮৪, ১৯৮৮ ও ১৯৯২) ও তিনবার (১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪) বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি। এছাড়া ক্লাব ফুটবলে ব্রেহমে বায়ার্ন মিউনিখ ও ইন্টার মিলানের হয়েও খেলেছেন।

খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিংয়ে নাম লেখান এই বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার। ২০০০ সালে নিজের সাবেক ক্লাব কাইজারস্লাটার্নের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দল অবনমনে নেমে যেতে পারে—এ শঙ্কায় ২০০২ সালে তাকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। এরপর আরও দুটি দলের (একটি স্টুটগার্টের সহকারী কোচ) কোচের দায়িত্ব নিলেও, ২০০৬ সালেই শেষ হয় ব্রেহমের কোচিং ক্যারিয়ার।

এএইচএস