ভালোবেসে লিভারপুল সমর্থকরা মোহাম্মদ সালাহকে ডাকেন মিসরীয় রাজা বলে। দেড়মাস পর লিভারপুলে ফিরে সালাহ খেললেন রাজার মতোই। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডকে তাদের ঘরের মাঠে আগের পাঁচ ম্যাচের কোনোবারেই হারাতে পারেনি অলরেডরা। এবার সালাহর জাদুতেই কিনা ম্যাচটা জিতলো তারা। এক গোল আর এক অ্যাসিস্টে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মিসরের এই তারকা। 

মোহাম্মদ সালাহ, ডারউইন নুনিয়েজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক–আলিস্টার আর কোডি গাকপো। চার জনের গোলের সুবাদে ব্রেন্টফোর্ডকে ৪–১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। তাতে অন্তত কিছু সময়ের জন্য লিগে টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকছে অলরেডরা। দেড় মাস পর দলে ফেরা সালাহ এদিন নিজে গোল করার পাশাপাশি গোলে সহায়তাও করেছেন। 

লিভারপুল ৪ -১ ব্রেন্টফোর্ড

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই মিসরের হয়ে আফ্রিকান কাপ অব নেশনস খেলতে চলে যান সালাহ। সেখানেই চোটে পড়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। তবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ছিলেন তিনি। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষেও প্রথম একাদশে ছিলেন না তিনি। ৪৪ মিনিটে দিয়েগো জোটার ইনজুরিতেই মাঠে নামেন তিনি। আর দ্বিতীয়ার্ধে তিনিই দেখান জাদু। 

তার আগেই অবশ্য ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য দেখিয়েছে লিভারপুল। জোটা-নুনিয়েজ আর লুইস দিয়াজের কল্যাণে শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য ছিল ইউর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ৩৫ মিনিটে তারই ফল পায় তারা। লিভারপুলের নিজস্ব ঢঙে কাউন্টার অ্যাটাকে আসে গোল। বল নিয়ে ব্রেন্টফোর্ডে অর্ধে ঢুকে পড়েন জোতা।  নুনিয়েজকে বাড়ান সেই বল। এগিয়ে আসা গোলকিপারকে আলতো চিপে পরাস্ত করেন নুনিয়েজ। 

বিরতির ১০ মিনিট পর লিভারপুলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন ম্যাক-অ্যালিস্টার। সালাহর দুর্দান্ত পাস থেকে গোল না করাটাই কঠিন ছিল এই আর্জেন্টাইন তারকার জন্য। 

৬৮ মিনিটে গোলদাতার খাতায় নাম লেখান সালাহও। গাকপোর বাড়ানো বল ব্রেন্টফোর্ডের দুই ডিফেন্ডার কলিন্স ও মি দুজনের কেউই আটকাতে আসেননি। দ্রুতগতিতে এগিয়ে সেই বল নিজের দখলে নেন সালাহ। যেখান থেকে ব্যবধান ৩–০ করেন মিসরীয় তারকা।

ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে একটি গোল শোধ দেন ইভান টনি। তবে ৮৬ মিনিটে গোল করে লিভারপুলের পক্ষে ব্যবধান আবারও বাড়িয়ে দেন গাকপো। 

এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকায় লিভারপুলের শীর্ষস্থান আরও কিছুটা শক্ত হলো। ২৫ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৭, ২৩ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির।

জেএ