নতুন বছরের প্রথম ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়েও বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষস্থানটা নিজেদের কাছেই রেখেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি এন্ড কোং বিগত বছরে হেরেছে কেবল একটি ম্যাচেই। তাতে অবশ্য র‍্যাঙ্কিংয়ে কোনো হেরফের হয়নি তাদের। বরং পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে বছর শেষ করেছে তারা। 

নতুন বছরে এখন পর্যন্ত মূল দল মাঠে নামেনি আর্জেন্টিনা। তবে বয়সভিত্তিক দল মাঠে নেমেই এনে দিয়েছে সুখবর। ব্রাজিলকে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিকের মূলপর্বে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে আলবিসেলেস্তেরা। যেখানে দেখা যেতে পারে লিওনেল মেসি, অ্যানহেল ডি মারিয়াদের মত তারকাদের। অবশ্য এবছর আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখা। 

জুনে শুরু হওয়া সেই দুই ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনার দুইটি প্রীতিম্যাচের সূচি নিশ্চিত করা হয়েছে। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে আর্জেন্টিনা খেলবে দুই আফ্রিকান প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া এবং আইভরিকোস্টের বিপক্ষে। তবে ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসি হংকং একাদশের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে না নামায়, আর্জেন্টিনার এই ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায় চীন। 

এরপরেই শুরু হয় জটিলতা। তবে আর্জেন্টিনার ফুটবলের বিশ্বস্ত গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, আফ্রিকার দুই প্রতিপক্ষের বাইরে আরও দুই ম্যাচ খেলতে পারে আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার কথা মাথায় রেখে, সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে লাতিন এবং আমেরিকা অঞ্চলের দুই দেশ। এক্ষেত্রে হন্ডুরাস এবং ইকুয়েডরের নামই সামনে এসেছে বেশি। 

১৮ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দুই আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তবে আয়োজন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এখন বিকল্প প্রতিপক্ষের কথা মাথায় আনতে হচ্ছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনকে। আবার চারটি ম্যাচই খেলার সম্ভাবনা আছে বলেও মন্তব্য অনেকেরই। 

জেএ