অলিখিত ফাইনালে রাতে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
আগামী ২৬ জুলাই থেকে ফ্রান্সের প্যারিসে শুরু হবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা অলিম্পিক গেমস। যেখানে লাতিন আমেরিকা থেকে অলিম্পিকের ফুটবলে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে নেমেছিল ১০টি দল। আর মাত্র চারটি দেশ সেই লড়াইয়ে টিকে আছে, তাদের মধ্যে টিকিট পাবে দুই দল। শীর্ষ দুইয়ে থাকার লড়াইয়ে আজ (রোববার) ‘অলিখিত ফাইনালে’ মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
ভেনেজুয়েলার এস্তাদিও ব্রিদিগো ইরিয়ার্তে স্টেডিয়ামে দিবাগত রাত আড়াইটায় (বাংলাদেশ সময়) দুই লাতিন জায়ান্ট পরস্পর মোকাবিলা করবে। কনমেবল অঞ্চলের অলিম্পিকের বাছাইপর্বে এটি দু’দলের শেষ ম্যাচ। চূড়ান্ত পর্বে খেলা চার দলের মধ্যে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে প্যারাগুয়ে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ব্রাজিল, ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আর্জেন্টিনা। সে হিসেবে প্যারাগুয়ে অলিম্পিকে প্রায় এক পা দিয়ে রেখেছে। আর আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মধ্যকার জয়ী দল পাবে অলিম্পিকের টিকিট।
বিজ্ঞাপন
আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ের প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা। অন্য ম্যাচের দুই প্রতিপক্ষ ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল জিতলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অলিম্পিক যাত্রা নিশ্চিত হবে। তাতে অন্য কোনো হিসেবের দরকার হবে না। আর্জেন্টিনা জিতলে তারা অলিম্পিকে যাবে ৫ পয়েন্ট নিয়ে। সেক্ষেত্রে বাদ পড়বে ব্রাজিল।
সবমিলিয়ে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সামনে সহজ সমীকরণ। দুই দলের জন্যই এটি ডু অর ডাই ম্যাচ। আর্জেন্টিনা অলিম্পিকে খেলার টিকিট পেলে মূল প্রতিযোগিতায় তাদের জার্সিতে দেখা যেতে পারে লিওনেল মেসি ও আনহেল ডি মারিয়াকে। জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ হাভিয়ের মাসচেরানোর অধীনে দুজনেই আসন্ন টুর্নামেন্টটিতে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার আগে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক থিয়েগো আলমাদা বলছেন, ‘আমরা অনেক ভালো বোধ করছি, ক্লাসিকো ম্যাচে নামার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী। এটি আমাদের জন্য ফাইনাল, হয় সবকিছু উজাড় করে খেলবো, নয়তো নয়। আমাদের দলে অনেক সামর্থ্য আছে, আগের ম্যাচেও আমরা জয় প্রাপ্য ছিলাম। কিন্তু এখন যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমাদের সামনে নতুন সুযোগ, যা আমাদের প্রেরণা দিচ্ছে।’
জয়ের প্রত্যাশী ব্রাজিল কোচ র্যামন মেনেজেস বলেন, ‘দারুণ একটি ম্যাচের ভাবনা আমাদের। ফুটবলারদের মাঝে ভারসাম্যপূর্ণ খেলায় প্রতিপক্ষের কাজকে কঠিন করে তোলার সামর্থ্য আছে। শেষ ম্যাচেও আমরা আগ্রাসী ছিলাম, তবে সব ম্যাচেই কৌশল ভিন্ন থাকে। আমরা জানি আমাদের লক্ষ্য পূরণে কি করা উচিৎ।’
এএইচএস