গত বছর ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারে ‘বেস্ট ফ্যান অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। যেখানে সাড়ে ছয় লাখের বেশি ভোট পেয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। সবার পক্ষ থেকে সেই গ্রহণ করেছিলেন কার্লোস পাসকুয়াল। যিনি 'তুলা' নামেই বেশি পরিচিত।

তর্কসাপেক্ষে আর্জেন্টাইন ফুটবলের সেরা সমর্থকও বলা হয় তুলাকে। পৃথিবীর যেই প্রান্তেই মাঠে নামতো লিওনেল মেসিরা, তিনি সেখানেই ছুটে যেতেন সেখানেই। গ্যালারিতে বসে গলা দলকে উজ্জ্বীবিত করার চেষ্টা করতেন। তবে এখন থেকে আর গ্যালারিতে দেখা যাবে না তুলাকে।

গতকাল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তুলা। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ নিশ্চিত করেছে ৮৩ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন সমর্থক মারা গেছেন।

গত ৩১ জানুয়ারি বুয়েনস এইরেসে মিতের সানাতোরিয়ামে অস্ত্রোপচার করান তুলা। তারপর কোমায় চলে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল তার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবার কাছে প্রার্থনা চেয়েছিলেন তারা। এবার সবার মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন তুলা।

গত বছর ফিফা দ্য বেস্টের মঞ্চে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের পক্ষে পুরস্কার হাতে বলেছিলেন, 'আর্জেন্টাইন হিসেবে আমি খুশি। কারণ, প্রায় সব পুরস্কারই আমরা জিতেছি। দিবু (মার্তিনেজ), স্কালোনি ও মেসি জিতেছে। সমর্থক হিসেবে তাই আমি ভীষণ আনন্দিত। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত আমি সব বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় (গ্যালারিতে) ছিলাম।'

'এই ৮২ বছর (মৃত্যুর সময় ৮৩) বয়স পর্যন্ত আমি প্রায় সব জায়গাতেই গিয়েছি। হ্যাঁ, আমি গরিব, কিন্তু পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই গিয়েছি। আমি স্রেফ আরেকজন আর্জেন্টাইন ভক্ত, যে অন্য সব লাখো সমর্থকের মতোই জাতীয় দলকে ভালোবাসে। আর্জেন্টিনা ছিল দুঃখী দেশ। কিন্তু তারা (জাতীয় দল) আমাদের আনন্দে ভাসিয়েছে।'

এইচজেএস