সৌদি আরবে ভুলে যাওয়ার মতো প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি শেষ করে এবার হংকংয়ে পা রেখেছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। এশিয়ান দেশটিতে পা রাখতেই তার জন্য উন্মাদনায় ফেটে পড়েছেন ফুটবলভক্তরা। তাদের এই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে অনেক বেশি দামে মায়ামির জার্সিও বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও চোটের অস্বস্তিতে থাকা মেসির ম্যাচ খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

এর আগে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন মেসি। সে কারণে তার খেলা নিয়ে এই দোদুল্যমান অবস্থা। সর্বশেষ ম্যাচে তার দল মায়ামি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোবিহীন আল-নাসরের  কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ম্যাচে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে নামানো হয় ম্যাচের ৮৩ মিনিটে। তবে হংকং একাদশের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচেও তিনি খেলবেন বলে জানিয়েছেন মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্টিনো।

আগামীকাল বেলা ২টায় হংকং একাদশের মুখোমুখি হবেন মেসিরা। ম্যাচের ভেন্যু হংকং স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। এতসব দর্শক অবশ্য স্বাগতিকদের চেয়ে মায়ামির পক্ষে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে তারা তাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত মেসিকে মাঠে খেলতে দেখবে কিনা তা–ই জানিয়েছেন মার্টিনো। আর্জেন্টাইন এই কোচ বলছেন, ‘আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আশা করছি যতক্ষণ সম্ভব লিও (মেসি) ম্যাচটি খেলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুটি স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ খেলেছি (সৌদি আরবে এ সপ্তাহে আল হিলাল ও আল নাসরের বিপক্ষে খেলেছে মায়ামি)। এর আগে দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম এল সালভাদর ও ডালাসে। তাই টানা খেলতে থাকা খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ, প্রাক্‌-মৌসুমে আমাদের প্রচুর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে।’

মেসিরা হংকংয়ে পৌঁছাতেই অসংখ্য মানুষ বিমানবন্দরে হাজির হয়েছেন। উত্তেজিত দর্শকদের বড় একটা অংশকে তাদের টিম হোটেলের সামনেও দেখা যায়। একইসঙ্গে হংকংয়ের স্থানীয় ঐতিহ্যে সাজানো একটি বোটও দেখা যায় ভিক্টোরিয়া হারবারে। যেখানে বোটের পালে মেসিসহ মায়ামির ছবিও অলঙ্কিত হয়েছে। এছাড়া মেসিদের অনুশীলন দেখতে ভক্তরা ভিড় জমান হংকং স্টেডিয়ামে। মেসির সঙ্গে ম্যাচটিতে খেলবেন লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেটস ও জর্দি আলবারাও।

হংকং পর্ব শেষে মায়ামি উড়াল দেবে জাপানে। সেখানে পরবর্তী মঙ্গলবার খেলবে ভিসেল কৌভের বিপক্ষে। এবারের এমএলএস মৌসুম শুরু হবে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে। তার প্রস্তুতি হিসেবেই মূলত এই ব্যস্ত সূচি পার করছে মায়ামি। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে এখন পর্যন্ত তাদের জয় পাওয়া হয়নি। আমেরিকায় একটি ড্রয়ের পর একটি হার এবং সৌদিতে দুই ম্যাচেই বড় হার দেখেছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি।

এএইচএস