নয় বছর অ্যানফিল্ডে নিজের সর্বোচ্চটুকুই উজাড় করে দিয়েছিলেন ইউর্গেন ক্লপ। সত্তর এবং আশির দশকের দাপুটে ক্লাবটি যখন নিজেদের খুঁজেই পাচ্ছিল না, তখন এই ক্লপই তাদের পথ দেখিয়েছেন। জিতিয়েছেন ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপাই। ৩০ বছর পর লিগ চ্যাম্পিয়নও তারা হয়েছে এই কোচের কল্যাণে। কিন্তু, ক্লপ জানালেন, আর না। এবার লিভারপুলকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। 

ক্লপের এই বিদায় সহজে মানতে নারাজ লিভারপুলের সমর্থকরা। কিন্তু, ক্লপ জানালেন, পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। যাইই হোক না কেন, লিভারপুলে দম হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। এই মৌসুমের পর দল ছাড়তেই হবে তাকে। এরপর অবশ্য ভক্তদের বলার কিছু ছিল না। এই মুহূর্তে ক্লপের বিদায়ের জন্যই তাই ক্ষণ গুনছেন তারা। 

ইউর্গেন ক্লপ এই মৌসুমের পরেই চলে যাবেন। অ্যানফিল্ডে তার শেষ ম্যাচ ওলভারহ্যাম্পটন হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে। সেদিনই বিদায় জানানো হবে কিংবদন্তি বনে যাওয়া এই জার্মান কোচকে। সেই ম্যাচ মাঠে গড়াবে মে মাসের ১৯ তারিখ। কিন্তু ক্লপের বিদায়ী সেই ম্যাচের জন্য এখন থেকেই চলছে তুমুল দরদাম।  যা দেখে চোখ কপালে উঠতে পারে যে কারোরই। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে রেকর্ড দামেই ক্লপের শেষ ম্যাচের টিকিট কিনছেন ভক্তরা। এমনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই ম্যাচের টিকেটের। গায়ের মুল্যে ৬০ পাউন্ড লেখা থাকলেও কিছু কিছু টিকিট কিনতে প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার পাউন্ড খরচ করতে হচ্ছে সমর্থকদের। যার অর্থ, একটি টিকিট কিনতে ৪০৮ গুণ বেশি দাম দিতে হচ্ছে। 

তবে এগুলো লিভারপুলের বিখ্যাত কপ এন্ডের পেছনে থাকা প্রাইম সিটের টিকিটের দাম। এখানেই অবশ্য শেষ না। একেবারেই সস্তা টিকিটও বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার পাউন্ডে। দামের পার্থক্য কত বেশি তার উদাহরণ দিতে গিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ী ম্যাচে টিকিটের দাম ছিল মোটে ৩ হাজার পাউন্ড। 

২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন ক্লপ। এরপর জার্মান এই মাস্টারমাইন্ড অসংখ্য সাফল্য এনে দিয়েছেন অ্যানফিল্ডের দলটিকে। প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপসহ এমন কোনো শিরোপা বাকি নেই— যা ক্লপের হাতে ধরা দেয়নি। তবে সেসব অতীতের সুখস্মৃতি রেখে এখনই থামতে চান তিনি।    

জেএ