রোমা থেকে ছাঁটাই হয়েছেন দিন দুয়েক আগে। জোসে মরিনিয়ো আরও একবার নিজের তৃতীয় বছরে এসে কোনো ক্লাবের কোচের পদ থেকে বহিস্কার হয়েছেন। ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া মরিনিয়ো এবার কোন ক্লাবে যান সেটাই দেখার অপেক্ষা ছিল ফুটবল দুনিয়ার। তবে তার নতুন গন্তব্য নিয়ে এবার খানিকটা যেন আভাস পাওয়া গেল। আর সেটা দেখে রীতিমত ভড়কে যাওয়ার দশা অনেকেরই। 

রোমা থেকে ছাঁটাই হওয়ার দিনদুয়েকের মাঝে মরিনিয়োকে দেখা গেল বার্সেলোনায়। যে শহরের সঙ্গে তার আছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। ২০১০ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় করে ন্যু ক্যাম্পে পাগলাটে উদযাপন করেছিলেন তিনি। সেবার ইন্টার মিলানকে ট্রেবল জিতিয়ে চলে আসেন বার্সা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। 

এরপর মাদ্রিদে প্রায় আড়াই বছরে তিনি জন্ম দিয়েছে বহু ঘটনার। বার্সেলোনাকে বেশ ভুগিয়েছেন। আবার নাস্তানাবুদও হয়েছেন অনেকবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও বিধ্বস্ত হয়েছিলেন। সেই বার্সেলোনার বিমানবন্দরেই আবার দেখা গেল তাকে। তবে বিমানবন্দরে বার্সার কোচ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেবল মুচকি হেসেই চলে গিয়েছেন তিনি। 

পর্তুগালের এই কোচ অবশ্য একসময় বার্সেলোনার সহকারী কোচ হিসেবেও ছিলেন। ডাচ কোচ লুই ভ্যান হালের সহকারী হিসেবে ন্যু ক্যাম্পে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড চলে যাওয়ার পরে তাকে কোচ করার আলাপও চলছিল বার্সেলোনায়। তবে সেবার তাকে টপকে পেপ গার্দিওলাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা পরের চার বছর বার্সেলোনাকে এনে দেয় অভাবনীয় সাফল্য।    

বার্সায় জাভি অধ্যায় কি তবে ফুরাবার পথে? 

৬০ বছর বয়েসী এই কোচ সবশেষ ছিলেন ইতালিয়ান ক্লাব রোমায়। সেখানে নিজের প্রথম মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছেন কনফারেন্স কাপের শিরোপা। রোমার ইতিহাসেই যা প্রথম ইউরোপিয় শিরোপা। পরের বছরই ক্লাবকে নিয়ে গিয়েছিলেন ইউরোপা লিগের ফাইনালে। তবে চলতি মৌসুমে খুব একটা ভাল করতে পারেনি রোমা। যার কারণে ছাটাই হতে হয়েছে জোসে মরিনিয়োকে। 

মরিনিয়ো এমন এক সময়ে বার্সেলোনায় পা রাখলেন যখন বর্তমান বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজের চাকরি নিয়েই চলছে গুঞ্জন। কাতালুনিয়ার একাধিক গণমাধ্যমের ভাষ্য, খুব দ্রুতই বার্সেলোনায় জাভি অধ্যায় শেষ হচ্ছে। ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা নিজেদের সাবেক এই কিংবদন্তিকে আর কোচ হিসেবে ভরসা করতে পারছেন না। 

এমনকি জাভির নিজের কথাতেও তা স্পষ্ট হয়েছিল। স্প্যানিশ সুপারকাপের ফাইনালে হারের পর তিনিই বলেছিলেন, যদি কোনো কারণে ক্লাবের স্বার্থে আঘাত আসে, তবে তিনি নিজেই আগে থেকে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। জাভির সেই সময় কি সত্যিই ফুরিয়ে এলো কিনা, সেটা নিয়েও এবার নতুন করে ভাবনার সময়ে চলে এসেছে। 

জেএ