লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার সম্পর্ক শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। কান্নাভেজা চোখে নিজের শেকড়ের ক্লাব ছেড়ে এসেছিলেন মেসি। এরপর গিয়েছে ভালোবাসার শহর প্যারিসে। সেখানে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের হয়ে খেলেছেন দুই মৌসুম। সেই সম্পর্কটাও শেষ হয়েছে তিক্ততার মাঝে। মেসি এখন থিতু হয়েছেন মায়ামির ক্লাবে। 

তবে মেসি যেখানেই থাকুন না কেন, আদতে তিনি পুরোদস্তুর বার্সেলোনার ঘরের ছেলে। এখনো তার কাছে রিয়াল মাদ্রিদ প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু, ফিফা দ্য বেস্টে সেই রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকেই ভোট পেয়েছেন মেসি। আবার জাতীয় দলের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের কোচও ছিলেন মেসিরই পাশে।

ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক হিসেবে ফিফা দ্য বেস্টে ভোট দিয়েছিলেন লুকা মদ্রিচ। সেরা খেলোয়াড় বাছাইয়ে তিনি প্রথম ভোট দিয়েছেন মেসিকেই। ২০২২ বিশ্বকাপে এই মেসির কাছেই সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান মদ্রিচ। তবু আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে ভোট দিতে কার্পণ্য করেননি রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার। তার ভোটের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন রদ্রি। তিনে মার্সেল ব্রোজোভিচ। 

ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন এবং ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেও প্রথম ভোট দিয়েছেন মেসিকে। এমবাপে নিজেও ছিলেন সেরা তিনে। তবে নিজেকে ভোট না দিয়ে তিনি শুরুতে রেখেছেন এলএমটেনকে। দুইয়ে রেখেছেন আর্লিং হালান্ডকে। আর তিনে রেখেছেন কেভিন ডি ব্রুইনাকে। 

নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনার কাছে। সেই দলের অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইকও প্রথম ভোট দিয়েছেন মেসিকে। আবার রিয়াল মাদ্রিদে থাকা উরুগুয়ে অধিনায়ক ফেডে ভালভার্দেও নিজের ভোট দিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। 

আবার কোচদের মধ্যে ব্রাজিলের কোচ দিনিজের সমর্থন দিয়েছেন মেসিকে। উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসার ভোটও পেয়েছেন মেসি। সব হিসেব মিলিয়ে জুরি বোর্ডের গণনায় দুজনেই পেয়েছেন সমান ৪৮ পয়েন্ট। তবু শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার ১ম স্থান দখল করায় ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার পেয়েছেন মেসিই।

জেএ