গেল বছরটা স্বপ্নের মতো করেই পার করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ, খেলোয়াড় আর সমর্থকরা। একই বছরে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে মর্যাদার ট্রেবলের কোটাপূরণ করেছে ইংলিশ ক্লাবটি। পরে তারা ঘরে তুলেছে উয়েফা সুপার কাপ আর ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাও। জিতেছে ইউরোপের সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি। সবমিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সময়টাই ছিল অনন্য। 

অজস্র রেকর্ডের এই বছরটায় পিছিয়ে নেই ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। স্প্যানিশ এই মাস্টারমাইন্ডের হাতের জাদুতেই বদলেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ঘরোয়া লিগে দারুণ দাপট দেখানো ক্লাবটি জিতেছে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ইউরোপিয়ান সাফল্য। আর তার পুরস্কারও পেয়েছেন গার্দিওলা। 

লন্ডনে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে পেপ পেছনে ফেলেন ইন্টার মিলানের কোচ সিমোন ইনজাঘি ও ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্প্যালেত্তিকে। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই পুরস্কার পেলেন গার্দিওলা। 

পুরস্কার জিতেই গার্দিওলাকে পড়তে হয়েছে মধুর যন্ত্রণায়। পুরস্কার হাতে দেয়ার পর তারই একসময়ের শিষ্য এবং ফ্রান্সের কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি গার্দিওলার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তার কোচিং করানো বার্সেলোনার সেই দল এবং সিটির ট্রেবলজয়ী এই দলের মধ্যে সেরা কারা? 

উত্তরে গার্দিওলা বার্সার প্রতি ভালোবাসা জানালেও সিটিজেন্সদের বলেছেন বিশেষ কিছু, ‘বার্সেলোনা সব সময় আমার হৃদয়ে থাকবে। আমার প্রথম ভালোবাসা। তবে সিটির সঙ্গে এই পুরস্কার জয়টা বিশেষ কিছু। কারণ আমরা আগে এই সাফল্য পাইনি।’ 

২০০৯ সালে বার্সেলোনার হয়ে ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেয়েছেন পেপ গার্দিওলা। তবে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে এটাই প্রথম ট্রেবল তার। দ্বিতীয় ট্রেবলের বছরে দ্বিতীয়বার ফিফার বর্ষসেরা কোচ নির্বাচিত হলেন তিনি। ২০১০ সালের বার্সেলোনার কোচ হিসেবে প্রথম এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন সিটি কোচ।  

এদিকে গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দলটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন। পুরো মৌসুমজুড়ে সিটির সাফল্যে অবদান রাখায় তার স্বীকৃতিও পেলেন এই ব্রাজিলিয়ান।  

জেএ