ট্রান্সফার সিজন মানেই আজকাল এমবাপে, রিয়াল মাদ্রিদ এবং পিএসজির দড়ি টানাটানি। ২০২১ সালে শুরু হয়ে যা আজও চলমান। তবে এবারই হয়তো এমবাপের পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যাওয়ার শেষ সুযোগ। নয়তো আর কখনোই নয়।

ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ এরই মধ্যে এমবাপেকে পাওয়ার জন্য নতুন করে চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, পিএসজি সভাপতি নাসির আল-খেলাইফি তাকে দলে ধরে রাখতে চান। একইসঙ্গে পিএসজিই এমবাপের জন্য সেরা ক্লাব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে এমবাপের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ জুনের পর শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী মৌসুমে নতুন ক্লাবে যোগদানের জন্য তিনি ফ্রি এজেন্টে পরিণত হবেন। আল-খেলাইফি স্থানীয় ব্রডকাস্টার আরএমসিকে বলেন, ‘কিলিয়ানকে আমি ধরে রাখতে চাই, এ বিষয়ে কোনো গোপনীয়তা রাখতে চাই না। কিলিয়ান বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় আর প্যারিস তার জন্য সেরা ক্লাব।’

২০১১ সালে কাতারি মালিকের কাছে পিএসজি চলে যাওয়ার পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা পাওয়ার আশায় ট্রান্সফার মার্কেটে প্রতি বছরই বিপুল  অর্থলগ্নি করে চলেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য তারা পায়নি। এমবাপেকে নিয়ে গত দুই বছর যাবত আগ্রহ দেখানো ১৪ বারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ এবার আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না।

আল-খেলাইফি বলেছেন, ‘পিএসজিতে বিশ্বের সেরা ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে, বিশ্বের সেরা কোচ লুইস এনরিকে রয়েছেন। প্রতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, কমপক্ষে শেষ ষোলো পর্যন্ত আমরা খেলে থাকি। কোয়ার্টার ফাইনাল এমনকি সেমিফাইনাল ও ফাইনালেও খেলার সুযোগ হয়েছে। বিশ্বের বড় ক্লাবগুলোর পাশেই আমরা সবসময় থেকেছি।’

এমবাপের চুক্তির আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একসূত্র গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে ফরাসি এই ফরোয়ার্ড চুক্তির বিষয় যাতে সহজ হয় সে কারনে বিপুল পরিমান অর্থের ছাড় দিতেও রাজী আছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালে পিএসজিতে ৭২ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তি নবায়ন করেছিল এমবাপে। তার সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর সাইনিং বোনাসও ছিল।

কিন্তু আল-খেলাইফি জানিয়েছেন এমবাপে যেখানেই থাকুক না কেন সেখানে অর্থের কোনো বিষয় জড়িত নয়, ‘আমাদের সামনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। আমি সবাইকে বলবো কিলিয়ানকে একা ছেড়ে দাও, তাকে একা থাকতে দাও।’

এফআই