ক্যাম্প ন্যু–কে নতুন করে সংস্কার করছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্যমতে, এজন্য তাদের গুনতে হচ্ছে ১.৪৫ বিলিয়ন ইউরো খরচ। সেজন্য নিজেদের সম্পদ বিক্রি করেই ফান্ড গঠনের কাজে নেমেছে কাতালান ক্লাবটি। খরচ মেটাতে তারা ক্যাম্প ন্যুর ঘাস ও ডায়মন্ড বিক্রি করছে। ভক্তরা এখন ক্যাম্প ন্যুর নিজস্ব স্টোরে এসে ওই ঘাস ও ডায়মন্ড কিনতে পারবেন। 

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকম বলছে— ঘাস ও ডায়মন্ড বিক্রি করে বার্সার আয় হতে পারে ১৫ হাজার ইউরো। যা তাদের ক্যাম্প ন্যু সংস্কারে বেশ সহায়ক হতে পারে। ঘাস কিনতে গেলে নূন্যতম ৪৯.৯৯ ইউরো খরচ করতে হবে ভক্তদের। এছাড়া ৭৯.৯৯ ইউরোর একটি অফারও আছে। কাঠের ফ্রেমে ঘাস নিতে চাইলে খরচ করতে হবে ৪১৯.৯৯ ইউরো।

নিজেদের ঐতিহাসিক ঘরের মাঠ ব্যবহার করতে না পারায়, সাময়িক সময়ের জন্য বার্সা হোমভেন্যু হিসেবে এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানির মাঠটি ব্যবহার করছে। যার ধারণক্ষমতা ৫৪ হাজার। তবে তাদের আশা– আগামী ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে ফের ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতে পারবে কাতালোনিয়ান ক্লাবটির ফুটবল। সংস্কার কাজের জন্য অর্থ যোগাতে তারা নিলামেরও আয়োজন করেছিল, সেখানে দলটির নীতি-নির্ধারকরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনের পথ বাতলে দেন। সে ধারাবাহিকতায় এবার তারা নিজেদের পুরোনো মাঠের ঘাস ও ডায়মন্ড বিক্রি শুরু করেছে।

পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় জানুয়ারির দলবদলেও চাহিদামতো খেলোয়াড় কিনতে পারছে না বার্সা। তবে এই মৌসুমে তারা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ভিতর রককে নিবন্ধন করিয়েছে। যদিও তাকে আগেই কিনে রেখেছিল বার্সা। তাকে কেনার অর্থ কিস্তিতে শোধ করবে ক্লাবটি। এছাড়া বেশ কয়েকবারই বার্সা কর্তৃপক্ষসহ কোচ জাভি হার্নান্দেজ অর্থের অভাবে খেলোয়াড় কিনতে না পারার বিষয়টি প্রকাশ্যে জানিয়ে আসছেন।

বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা ঘাস সম্পর্কে ব্লুগ্রানাররা জানিয়েছে, এসব ঘাস দীর্ঘ সময়ের জন্য (আনলিমিটেড পিরিয়ড) সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দেখাবে। এজন্য ক্রেতাদের এসব ঘাসে কোনো পানি দিতে হবে না।

এএইচএস