ব্রাজিলের সবকটা বিশ্বকাপেই নায়ক ছিলেন মারিও জাগালো। একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে তিনি জয় করেছিলেন ৪টি বিশ্বকাপ। ২০২২ সালে পেলের মৃত্যুর পর তিনিই ছিলেন ৫৮ সালের বিশ্বকাপ জেতা দলের একমাত্র সদস্য। এবার চলে যাওয়ার মিছিলে নাম লেখালেন জাগালো নিজেও। ৯২ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি। 

১৯৫৮, ১৯৬২ সালে মারিও জাগালো ছিলেন বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল দলের সদস্য। এরপর ১৯৭০ সালে পেলে, জাইরজিনহোদের নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। ১৯৯৪ সালে ছিলেন ব্রাজিলের সহকারী কোচ ছিলেন তিনি। সেই অর্থে তিনি জয় করেছিলেন ৪ বিশ্বকাপ। তিনিই প্রথম খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপ জেতা ব্যক্তি ছিলেন। যে তালিকায় পরে যুক্ত হয়েছিলেন জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার এবং ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশাম।  

আর ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়াতে এসেছিলেন দলের বিশেষ পরামর্শক এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের অংশ হিসেবে। সেই হিসেবে ব্রাজিলের সব বিশ্বকাপ দলেরই একজন ছিলেন এই কিংবদন্তি জাগালো। 

মারিও জাগালোর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিবৃতির মাধ্যমে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অনেক দুঃখের সঙ্গে আমরা চারবার বিশ্বকাপজয়ী মারিও হোর্হে লোবো জাগালোর মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি।'

২৬ বছর বয়সে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় মারিও জাগালোর। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের অল্প কদিন আগেই দলে প্রবেশ করেন তিনি। তবে মূল দলে জায়গা করে নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি এই ফরোয়ার্ডের। ৫৮ এর বিশ্বকাপের ফাইনালে দলের চতুর্থ গোল করেছিলেন তিনি। অ্যাসিস্ট করেছিলেন পেলের গোলেও। 

১৯৬২ বিশ্বকাপে পেলে গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে গেলে গারিঞ্চার সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন জাগালো। এরপর ১৯৭০ সালে পরিচালনা করেছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা দলকে। কার্লোস আলবার্তো, জারজিনহো, পেলেদের নিয়ে গড়া দলকে অনেকেই সর্বকালের সেরা বলে মন্তব্য করেছিলেন। 

এছাড়া, ১৯৯৪ সালে কার্লোস আলবার্তো পেরেইরার সঙ্গে সহকারী কোচ হিসেবে জিতেছেন বিশ্বকাপ। এরপর ২০০২ সালে ছিলেন দলের বিশেষ পরামর্শক। নেকড়ে উপাধি পাওয়া এই ফুটবলার ছিলেন ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জেতা দলের একমাত্র জীবিত সদস্য। তার মৃত্যুর পর পুরো ব্রাজিল ফুটবলেই এক যুগের ইতি ঘটলো। 

জেএ