এমন কিছু ঘটবে, সেটা যেন কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিল। আবার জিরোনার সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে একেবারে আশ্চর্য হওয়ারও কিছু নেই। চলতি বছর একের পর এক চমক দিয়ে আসছে, লা লিগার এই ক্লাবটি।  লা লিগায় সিটি ফুটবলের বিনিয়োগ পেয়েছে কাতালুনিয়ার ক্লাব জিরোনা। এরপর থেকে আলোচনায় নিয়মিত মুখ তারা। কিন্তু, বড় নামের খেলোয়াড় না ভিড়িয়েও চলতি মৌসুমে যা করেছে দলটি, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। 

এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পয়েন্ট ছিনিয়ে এনেছিল জিরোনা। আগের ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোসদের ড্রয়ের সুবাদে এবার সুযোগ ছিল স্প্যানিশ লিগের শীর্ষে ওঠার। সেই সুযোগ হারায়নি তারা। বার্সেলোনাকে তাদেরই ঘরের মাটিতে অন্যরকম এক লজ্জা দিলো জিরোনা। কাতালান ডার্বিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের তারা বিধ্বস্ত করেছে ৪-২ গোলে। 

পুরো ম্যাচে হতাশ করেছে কুন্ডে-আরাউহো জুটি

ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল জিরোনার কাছেই। লিডটাও তারা পেয়ে যায় দ্রুত। ১২ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে এক পাসেই ছিন্নভিন্ন বার্সার ডিফেন্স। জুলস কুন্ডে আর রোনাল্ড আরাউহোর লাস্ট লাইন ভাঙতে সমস্যাই হয়নি জিরোনার। ভিক্টর সিভানকোভের হালকা পাস থেকে বল জালে জড়ান আর্টেম ডোভবিক। সেই যে শুরু, এরপর বাকি ম্যাচটা নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছে বার্সার ডিফেন্স। 

 

১৯ মিনিটেই অবশ্য সমতায় আসে বার্সা। গোলখরায় ভুগতে থাকা লেভানডফস্কি কর্নার থেকে স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেন। ৪০ মিনিটেই অবশ্য আবার স্কোরকার্ডে আসে পরিবর্তন। মিগুয়েল গুতিয়েরেজের দুর্দান্ত এক গোলে পিছিয়ে যায় বার্সা। 

জিরোনা ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর ফুটবল উপহার দিয়েছে সেটা বোঝা গেলো দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে। ৮০ মিনিটে জুলস কুন্ডে তালগোল পাকিয়ে গোলটা খানিক উপহারই দেন ভেলোরি ফার্নান্দেজকে। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও এরপর চড়াও হয়েছে জিরোনা। কুন্ডে-আরাউহোরা খুঁজেই পাননি নিজেদের। দুই দফা ব্যবধান বাড়াতে পারতো তারা। ভাগ্য অবশ্য ছিল বার্সার পক্ষে। 

ইলকাই গুন্দোগান একেবারে শেষ সময়ে গোল করে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। সেটা হতেও পারতো, যদি লেভানডফস্কি পরের মুহূর্তেই নিজের হেডটা গোলপোস্ট রাখতে পারতেন। এই ভুলের মাশুল দিতে হলো আরেক গোল হজম করে। স্টুয়ানি বার্সাকে ডোবান হালি গোলের লজ্জায়। 

জেএ