কাতার বিশ্বকাপ জিতবেন, আগেই জানতেন মেসি!
ক্লাব শিরোপা আর ব্যক্তিগত প্রাপ্তিতে আগেই পূর্ণ ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু বিশ্বকাপ শিরোপা ছাড়া সেই পূর্ণতা নিয়ে কিছুটা হলেও বিতর্ক ছিল। অথচ মেসিকে নিয়ে বিতর্ক ফুটবল ঈশ্বরের একেবারেই পছন্দ না! তবে নাটকের শেষ দৃশ্য বলে কথা, রোমাঞ্চ ছাড়া কি আর জমে? ২০২২ বিশ্বকাপে সেই শেষ দৃশ্যে জয় হয়েছে মেসির, তার হাতে উঠেছে বিশ্বকাপ শিরোপা, পূর্ণতা পেয়েছেন তিনি।
সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। এমন লজ্জার শুরুটাই যে গৌরবে শেষ হবে তা কতজন ভেবেছিল? অথচ এই শিরোপা জয়ে যার সবচেয়ে বেশি অবদান, তিনি আগে থেকেই জানতেন এবার দারুণ কিছু করতে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘১৮-ডি, দ্য ইটারনাল ফাইনাল’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছে আর্জেন্টিনা।গতকাল শুক্রবার এই প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করেছে আর্জেন্টাইন টেলিভিশন চ্যানেল টিভি পাবলিকা। যেখানে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের নানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
সেই প্রামাণ্যচিত্রে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে কথা বলেছেন লিওনেল মেসিও। শিরোপা জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতেই হতো। আমি মনে মনে টের পেয়েছিলাম। আমি এটা জানতাম।’
'এটা সবারই আকাঙ্ক্ষার বিষয়। সবাই বড় স্বপ্ন দেখে এবং জাতীয় দলের হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমি সৌভাগ্যবান যে আমি ক্লাব পর্যায়ে বার্সেলোনার হয়ে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবকিছু জিততে পেরেছি। শুধু এটাই (বিশ্বকাপ) আমার অধরা ছিল। খুব কমসংখ্যক মানুষ আছে, যারা বলতে পারে যে তারা সবকিছু জিতেছে। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে আমি তাদের একজন।'-আরো যোগ করেন তিনি।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। এই কথাটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন মেসি। তার মতে পরিশ্রম আর সফল একই পথে হাঁটে। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি চেষ্টা, আত্মত্যাগ, কাজ ও বিনয়ী হয়ে কিছু চান, তাহলে শেষ পর্যন্ত আপনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। পথটা কঠিন হতে পারে, কিন্তু নিজের স্বপ্নপূরণে আপনাকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমি সব সময় ফুটবল খেলাটা ভালোবেসেছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলাও ভালোবেসেছি।’
নিজের খারাপ সময় নিয়ে মেসি বলেন, ‘আমার খারাপ সময় গেছে। আমার পরিবার এবং যেসব মানুষ আমাকে ভালোবাসে তারাও এর মধ্য দিয়ে গেছে। (আর্জেন্টিনায় সমালোচকেরা) এ প্রজন্মের খেলোয়াড়দের প্রতি খুবই অন্যায্য আচরণ করেছিল। তারা আমাকে নিয়েও অনেক বাজে কথা বলেছে। তবে আমি বিদ্বেষী নই।’
এইচজেএস