স্বাধীনতা কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস সেমিফাইনালে উঠেছে। কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। যদিও কোয়ার্টারের গন্ডি পার হতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে কিংসের।

সেনাবাহিনী ফুটবল দলে কোনো বিদেশি ফুটবলার নেই। শক্তিমত্তায় অনেক এগিয়ে কিংস। সেনাবাহিনী ডাগআউটে কোচ হিসেবে ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তাই কিংসকে পড়তে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। 

কিংসের নিয়মিত অধিনায়ক রবসন রবিনহো ইনজুরিতে। ১১ ডিসেম্বর এএফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকায় রবসনেক নিয়ে ঝুকি নেয়নি কিংস। রবসন না থাকায় কিংসের আক্রমণভাগে দুর্বলতা ছিল। সেনাবাহিনীর বিপক্ষে কিংসের গোল পেতে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েলের কর্নার থেকে উজবেক ফুটবলার গফুরবেগ হেডে গোল করেন। 

দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটে সমতা আনে ছোটনের দল। অবশ্য এতে ছোটনের খেলোয়াড়দের চেয়ে কিংসের গোলরক্ষক শ্রাবণই বেশি দায়ী। সতীর্থ ডিফেন্ডার শ্রাবণের উদ্দেশ্যে বল ঠেললে তিনি সেটি ঠিক মতো রিসিভ ও ফিরতি পাস দিতে পারেননি। বক্সে থাকা সেনাবাহিনীর ফুটবলার শাহরিয়ার ইমন বল জালে পাঠান। কিংস অ্যারেনায় খেলা দেখতে এসেছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্য ক্রীড়াবিদরাও। ম্যাচ সমতায় ফেরায় গ্যালারিতে বেশ চাঙা ভাব আসে। 

ম্যাচে লিড আনতে মরিয়া ছিল কিংস। ৭৮ মিনিট কিংসকে এই যাত্রায় রক্ষা করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েল্টন। বক্সের সামনে থেকে রাকিব বা প্রান্তে সাদ উদ্দিনকে বল ঠেলেন। সাদ বুদ্ধিদীপ্তভাবে পোস্টের সামনে দাঁড়ানো ডরিয়েল্টনকে পাস দেন। ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।

ম্যাচের বাকি সময় আর গোল না হওয়ায় ২-১ স্কোরলাইনে জিতে কিংস। ছোটনের সেনাবাহিনী ম্যাচ হারলেও ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জিতেছে। সীমিত সামর্থ্য নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ দলের সঙ্গে সেরা লড়াই করেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফুটবলই খেলছে। কলকাতায় ডুরান্ড কাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর এবার ঘরোয়া ফুটবলের টুর্নামেন্টেও চমকপ্রদ ফুটবলার উপহার দিয়েছে। 

সেমিফাইনাল লাইন-আপ

১৫ ডিসেম্বর    মোহামেডান-চট্টগ্রাম আবাহনী, গোপালগঞ্জ স্টেডিয়াম, দুপুর পৌনে দুটা। 

১৫ ডিসেম্বর    বসুন্ধরা কিংস-ঢাকা আবাহনী, কিংস অ্যারেনা, বিকেল চারটা। 

এজেড/এফআই