ছয় গোলের ম্যাচে ড্র-তেই শেষ ম্যানসিটি-টটেনহ্যামের লড়াই
জ্যাক গ্রিলিশ তখন অনেকটাই সামনে এগিয়ে গিয়েছেন, নিশ্চিত গোলের সুযোগ সামনে। ইতিহাদে ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরা আছেন দুর্দান্ত জয়ের প্রতীক্ষায়। তখনই কিনা পেছন থেকে বেরসিকের মত বাঁশি বাজালেন রেফারি। খানিক আগেই আর্লিং হালান্ডের উপর করা ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। অথচ, অ্যাডভান্টেজ প্লে এর সুবিধা পেতেই পারতো সিটিজেন্সরা।
হালান্ড ক্ষুব্ধ হয়ে তর্কে জড়িয়েছেন মাঠে। হতাশ গার্দিওলা মাঠেই উল্টে পড়েছেন। ৩-৩ গোলের ড্রতে ম্যানসিটি যে বেশ হতাশ তা খুব স্পষ্টই বোঝা গেল। টানা তিন ম্যাচ তারা ড্র করলো এই নিয়ে। আর পয়েন্ট টেবিলেও নেমে গেল ৩য় স্থানে। অন্যদিকে টানা তিন হারের পর গতকালই পয়েন্টের দেখা পেয়েছে স্পার্সরা।
বিজ্ঞাপন
৯০তম মিনিটটা সিটি শুরু করেছিল ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে। টানা দুই ড্রয়ের পর সিটিজেনরা যখন প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ফেরার স্বপ্ন দেখছে তখনই দেয়ান কুলুসেভস্কি গোল করে ধাক্কাই দিয়ে বসেন সিটিজেন্সদের। অথচ মিনিট দশেক আগেই জ্যাক গ্রিলিশ গোল করেছিলেন সিটির হয়ে। গ্রিলিশ পেতে পারতেন শেষের আরও এক গোল। তবে রেফারির বাঁশি তা আর হতে দেয়নি।
আরও পড়ুন
৬ গোলের রোমাঞ্চের ম্যাচে প্রথম গোলটি দিয়েছিল টটেনহাম। পুরো ম্যাচেই নায়ক-খলনায়ক দুই ভূমিকায় দেখা গিয়েছে টটেনহ্যামের অধিনায়ক হিউয়ং মিন সনকে। ৬ মিনিটে সফরকারীরা এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ান এই ফরোয়ার্ডের গোলে। তিন মিনিট পরেই তিনিই আবার বল পাঠান ভুল পোস্টে। আর তাতেই ম্যাচে ১-১ সমতা। ৩১ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলে এগিয়ে যায় সিটিজেন্সরা। প্রথথমার্ধ শেষফয় ২-১ ব্যবধানে।
এই মৌসুম থেকেই দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছে অ্যাঞ্জে পোস্তেগক্লুর টটেনহ্যাম। ৬৯ মিনিটে তারাই আবার গোল করে বসে। এবারেও আছেন সেই সন। অ্যাসিস্টের খাতায় আছে তার নাম। ৮১ মিনিটে হালান্ডের পাস থেকে গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন গ্রিলিশ। তবে সেটা স্বাগতিকদের জয় এনে দিতে পারেনি। কুলুসেভস্কির গোলে ড্র-তেই শেষ হয় ম্যাচ।
জেএ