ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ট্রফি ক্যাবিনেটের একটি ব্রাজিলিয়ান তারকা দানি আলভেজের। ব্রাজিলের জার্সিতে কিংবা ইউরোপের ক্লাব পাড়ায়, দানি আলভেজের মত সৃষ্টিশীল রাইটব্যাক পাওয়া ছিল কষ্টকর। ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পার করেছেন বার্সেলোনায়। এছাড়া পা রেখেছেন জুভেন্টাস, পিএসজির মত শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবেও। 

তবে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে যেন সুন্দর কিছু ঘটল না দানি আলভেজের সঙ্গে। কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপের পর ছুটিতে স্পেনের বার্সেলোনাতেই এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে সেই নারী দানি আলভেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলারও অভিযোগ এনেছেন। আর এরই সূত্র ধরে এই মুহূর্তে জেলে বন্দী জীবন পার করছেন আলভেজ। 

তবে এখানেই বিপর্যয়ের শেষ না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, ব্রাজিলের এই সাবেক ফুলব্যাকের বিরুদ্ধে ৯ বছর কারাবাসের শাস্তি দাবি করেছেন স্পেনের কৌঁসুলিরা। বার্সা ও পিএসজির সাবেক এই খেলোয়াড়ের কাছে ভুক্তভোগীর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে। আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি দেখে খবরটি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

যদিও শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ৪০ বছর বয়সি এই তারকা। নিজেদের অন্তরঙ্গতার কথা অব অবশ্য স্বীকার করে আলভেজ বলেছিলেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শুরুতে অবশ্য এই নারীকে চেনার কথাও অস্বীকার করেছিলেন আলভেজ। 

জুনে প্রকাশিত বার্সেলোনা ভিত্তিক সংবাদপত্র লা ভ্যানগার্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আলভেজ বলেন,‘ সাটন নাইটক্লাবের ভিআইপি এলাকার বাথরুমে সেই রাতে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে আমার সত্যিই পরিষ্কার মনে আছে। কি ঘটেছে এবং কি ঘটেনি। যেটি ঘটেনি তা হলো, ওই ঘটনার জন্য তাকে জোরাজুরি করা হয়নি।’

তবে এসব কথায় খুব একটা কাজ হয়নি। স্পেনের আইন অনুযায়ী বড় রকমের শাস্তিই পেতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের এই সাবেক ফুটবলার। স্পেনের আইন বলছে, অনলাইনে যৌন নির্যাতন থেকে ধর্ষণ অপরাধের জন্য আলাদা শাস্তির বিধান রয়েছে দেশটিতে। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাবাসের শাস্তিও হতে পারে।

এসব কাণ্ডের পর অবশ্য ক্যারিয়ারটাই একরকম শেষ দানি আলভেজের জন্য। গ্রেফতারের পরেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ম্যাক্সিকান ক্লাব পুমা ইউএনএএম। ইউরোপের ফুটবলেও আর ফেরা সম্ভব না তার। সবমিলিয়ে হয়ত দানি আলভেজের শেষটা দেখেই ফেলেছে ফুটবল বিশ্ব। 

জেএ