বিশ্ব ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচে এমনিতেই উন্মাদনার শেষ নেই। দুই দলের সুপার ক্লাসিকোর সবশেষ লড়াইয়ে গত বুধবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। গ্যালারিতে সমর্থকদের মারামারির পর খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয় ২৭ মিনিটের মতো। এরপর ম্যাচেও ছিল দুই দলের মারমুখী ভঙ্গি, রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে আর্জেন্টিনা মাঠ ছাড়ে ১-০ গোলের জয় নিয়ে। উত্তাপ ছড়ানো এই ম্যাচ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন নেইমার জুনিয়র।

ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত চলাকালেই দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করেন ব্রাজিলের কিছু সমর্থক। একপর্যায়ে দুই পক্ষের দর্শকদের সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ লাঠিচার্জের আশ্রয়ও নিয়েছিলেন। ব্রাজিলের দাঙ্গা পুলিশের এমন মারমুখী আচরণ ভালোভাবে নেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। দলের অন্যরাও জড়ো হয়েছিলেন গ্যালারির সামনে।

একপর্যায়ে প্রতিবাদ জানাতে দলকে মাঠ ছাড়ার ইঙ্গিত দেন লিও। যার সুবাদে খেলাও বন্ধ ছিল লম্বা সময় ধরে। ম্যাচের পর ব্রাজিল পুলিশের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে এমন ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ মেসি মাঠের খেলার দিকে ব্রাজিলিয়ানদের মনোযোগ নেই বলেও সরাসরি কটাক্ষ করেছেন, ‘আমরা দেখেছি পুলিশ কিভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও ওখানে ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালেও একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)। মাঠে খেলার চেয়ে সেসবেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে।’ 

পরবর্তীতে গ্যালারির মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এক বিবৃতিতে সিবিএফ জানায়, খেলায় শৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পুরো দায় ছিল রিও ডি জেনেইরোর পুলিশের হাতে। সংঘর্ষ শুরুর পর মাঠে থাকা দুই দলের প্রতিনিধি এবং রিও’র সামরিক পুলিশের সঙ্গে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথাও জানায় সংস্থাটি।

সেই বিতর্কে এবার যোগ দিলেন নেইমার। চোটের কারণে সেই ম্যাচে খেলতে না পারায় যেন ভালোই হয়েছে তার জন্য! তিনি বলেন, 'ভালো, ক্লাসিক, উত্তাপময় এবং কঠিন লড়াই। ওই ম্যাচে খেললে আমি অনেক মার খেতাম, কিন্তু আমিও গোলমাল করতাম। সবকিছুই যেন পাগলাটে।'

'ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ আমাদের বাড়িতে হল্লা তৈরি করে। আরে চলো, চলো! আবহটা উঞ্চ করতে কাউকে না কাউকে তো কিছু একটা করতে হবে!'-আরো যোগ করেন তিনি।

এইচজেএস