ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলে আবার নতুন প্রাণের সঞ্চার হচ্ছে। সেই নব প্রাণ সঞ্চারের ক্ষেত্র বসুন্ধরা কিংসের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারেনা। জামাল-মোরসালিনদের পারফরম্যান্স এবং দর্শকদের উন্মাদনা মিলে আবার আলোচনায় ফুটবল। 

কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ এবং বসুন্ধরা কিংসের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখতে ফুটবলপ্রেমীরা ভিড় জমান। শিক্ষিত, রুচিশীল দর্শকরা ফুটবলমুখো হচ্ছেন। বাংলাদেশ ফুটবল দল এবং বসুন্ধরা কিংস কিংস অ্যারেনায় এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারেনি। মাঠের পারফরম্যান্স এবং গ্যালারি উত্তেজনা মিলিয়ে ফুটবলের অসাধারণ আবহ কিংস অ্যারেনায়।  

বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি কিংস ইমরুল হাসান অ্যারেনায় ফুটবল উন্মাদনা সম্পর্কে বলেন, ‘ফুটবলের প্রাণই দর্শক। আমরা যখন ফুটবল দল গঠন করি তখনই দর্শক মাঠে ফেরানোটাই ছিল মূল লক্ষ্য। কিংসের খেলা দেখতে দর্শক মাঠে আসছিল। এখন কিংস অ্যারেনায় খেলা দেখতে আসছে। সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণীও (শিক্ষিত-কর্মজীবী) মাঠে আসছে ফুটবলারদের সমর্থন দিতে। এটা আমাদের জন্য দারুণ একটি প্রাপ্তি।’

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলায় ঢাকার মধ্যে আর ভেন্যু নেই ফুটবল ফেডারেশনের। সিলেটে খেলতে কিছুটা অনীহা রয়েছে ফুটবলারদের। তাই ফুটবল ফেডারেশনও এখন কিংস অ্যারেনা ব্যবহার করছে প্রায় সময়ই। অথচ লিগে কিংসের ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গড়িমসি ছিল ফেডারেশনের। অতীতের সেই স্মৃতি আর মনে রাখতে চান না কিংসের সভাপতি, ‘নতুন কিছু গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিপত্তি থাকতেই পারে। আমাদের ক্ষেত্রেও এসেছিল। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ উতরেছি। পুরোনো স্মৃতি আর স্মরণ করছি না।’

বাংলাদেশ তো বটেই উপমহাদেশে ক্লাবের নিজস্ব স্টেডিয়াম সেই অর্থে নেই। ঘরোয়া ফুটবলে নতুন দল বসুন্ধরা কিংস চার বছরের মধ্যেই নিজস্ব ভেন্যু করেছে। সেই ভেন্যু এখন ক্লাব ছাপিয়ে দেশেরই প্রধান ভেন্যুতে পরিণত। এজন্য কিংস সভাপতি ফুটবলার এবং বসুন্ধরা গ্রæপের চেয়ারম্যানকে বিশেষ ধন্যবাদ দিলেন, ‘কিংস অ্যারেনা নির্মাণ সম্ভব হয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান স্যারের (বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান) আন্তরিক ইচ্ছায়। স্যার এবং গ্রুপ আগ্রহী না হলে এটা অসম্ভব ছিল। পাশাপাশি ফুটবলাররা এখানে ভালো খেলছেন বলেই দর্শকরা কিংস অ্যারেনায় আসছেন।’

কিংস অ্যারেনায় গতকাল আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন শেখ মোরসালিন। তার দুর্দান্ত গোলে পুরো গ্যালারি উৎসব করেছে। সেই মোরসালিন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার। ক্লাব ও জাতীয় দলে দুর্দান্ত বেশ কয়েকটি গোল রয়েছে তার। এই তারকা ক্যারিয়ারের উঠতি পথেই কিছুটা বিপথে পা বাড়িয়েছিলেন। অল্প কিছু দুঃসময় কাটিয়ে আবার ক্লাব ও জাতীয় দলে ফিরেছেন। মদকাণ্ড ঘটনার পর ক্লাব শৃঙ্খলার বিষয়ে আরো কঠোর বলে জানালেন ক্লাব সভাপতি, ‘শৃঙ্খলার ব্যাপারে আমরা আরো বেশি সচেষ্ট হয়েছি। এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স।’

এজেড/এফআই