কাতারে বিশ্বকাপ ফাইনালের তার অতিমানবীয় সেইভে বিশ্বকাপ জয় করেছিল আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স যেকোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে সবসময় গোল বাঁচানোর কারিগর এমি নিজের দেশের সমর্থকদের জন্যেও মরিয়া। মারাকানায় নিজ দেশের সমর্থকদের পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনিও। 

বুধবারের সুপার ক্লাসিকোর ফিক্সচারে শুরুটাই হয়েছিল তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে। গ্যালারিতে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে ম্যাচ পিছিয়ে যায় অনেকটা। এমনকি তাতে যুক্ত হয় পুলিশও। দুই পক্ষের দর্শকদের সামাল দিতে লাঠিচার্জের আশ্রয়ও নিয়েছিলেন স্থানীয় পুলিশ। তাতে বেশ কয়েকজন সমর্থক আহতও হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং এক্সে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পক্ষের উত্তেজনা থামাতে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ব্যাপক আকারে লাঠিচার্জ করছে স্থানীয় পুলিশ। গ্যালারির উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেসিদের মাঝেও। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ গ্যালারির বাঁধা টপকে ঝাপিয়ে পড়েন পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে সমর্থকদের বাঁচাতে। পরে অবশ্য তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। 

এর খানিক পরেই অবশ্য দল নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ম্যাচশেষে অবশ্য এনিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন লিও। 

ব্রাজিলের পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন মেসি, 'আমরা দেখেছি পুলিশ কিভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও ওখানে ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালেও একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)। মাঠে খেলার চেয়ে সেসবেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে।’ 

এদিকে উত্তাপ ছড়ানো এই ম্যাচে নিকোলাস ওতামেন্ডির একমাত্র গোলে ব্রাজিলকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে সবার উপরেই থাকছে স্কালোনির শিষ্যরা। আর ব্রাজিলের অবস্থান ৬ষ্ঠ স্থানে। 

জেএ