১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ব্রাজিল চেয়েছিল আক্রমণের ধার বাড়াতে। যে কারণেই ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েলকে উঠিয়ে সাবস্টিটিউট হিসেবে নামান হয়েছিল ফরোয়ার্ড জোয়েলিংটনকে। তবে নিজের কাজটা করতেই পারেননি নিউক্যাসেলের এই ফরোয়ার্ড। উল্টো লালকার্ড খেয়ে দলের বিপদ বাড়িয়েছেন।   

পুরো ম্যাচেই দুই দল খেলেছে শারীরিক ভাষা প্রয়োগ করে। ফাউলের কারণে বারবার ম্যাচ থেমেছে। নষ্ট হয়েছে ফুটবলীয় সৌন্দর্য্য। তবে জোয়েলিংটনের লালকার্ড যেন ছাপিয়ে গেল সবকিছুই। রদ্রিগো ডি পল নিজেই এগিয়েছিলেন ট্যাকেল করতে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তাতে মেজাজ হারিয়ে সরাসরি আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের মুখে আঘাত করে বসেন। লালকার্ড দেখাতে তাই সময় লাগেনি। 

মারাকানায় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরু হওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষেই শুরু হয় প্রথম ঝামেলা। ব্রাজিলের মারাকানায় উপস্থিত আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে ব্রাজিলের সমর্থকরা। দ্রুতই সেখানে ছুটে যান স্থানীয় পুলিশের সদস্যরা। ঘটনার জের ধরে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি পুরো দল নিয়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে। 

ম্যাচের সময়েও ছিল এই উত্তেজনার রেশ। শুরুর ১৫ মিনিট যেন শারীরিক ভাষা প্রয়োগেই ব্যস্ত ছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এরমাঝে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাই অবশ্য চড়াও হয়েছেন বেশি। ম্যাচের ১৫ মিনিট না গড়াতেই কড়া ট্যাকল করে কার্ড দেখেন ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল জেসুস এবং রাফিনহা। ৩৪ মিনিটে আবার কার্ড দেখেন ব্রাজিলের কার্লোস অগাস্টো। প্রথমার্ধেই ছিল ১৬ ফাউল। 

দ্বিতীয়ার্ধেও যে ম্যাচের চিত্র খুব বেশি বদলেছে তা নয়। বেশ কয়েকবারই ফাউলের জন্য খেলা বন্ধ হয়েছে। এরইমাঝে ৬৩ মিনিটে গোল পেয়েছে আর্জেন্টিনা। লো সেলসোর কর্নার থেকে গোল করেন নিকোলাস ওতামেন্ডি। এরপরেই গোলের আশায় নামানো হয়েছিল জোয়েলিংটনকে। তবে তাতে সুবিধা হয়নি। উল্টো বিপদ বেড়েছে ব্রাজিলের। ম্যাচের বাকি সময়টা তারা খেলছে একজন কম নিয়ে। 

জেএ