জাতীয় নির্বাচনে যথেষ্ট সাড়া পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। সাবেক ক্রীড়াবিদ-সংগঠকরা গত দুই দিনের মতো আজও মনোয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিয়েছেন।

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আজ। কিশোরগঞ্জ -৩ আসন থেকে আওয়ামী লিগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। হিমেলের মনোনয়ন কেনা অনেকটাই চমক। হঠাৎ মনোনয়ন কেনার কারণ সম্পর্কে সাবেক জাতীয় গোলরক্ষক বলেন, '১৯৯৬ সালে আমার বাবা আওয়ামী লিগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এরপর আমাদের পরিবার থেকে মনোনয়ন চাওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন পর আবার চাইলাম।’

আওয়ামী লিগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক। মনোনয়ন পাওয়া অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এরপরও আশাবাদী এই ফুটবলার, 'আমাদের আসনে গত কয়েক মেয়াদে মহাজোটের প্রার্থী। জাতীয় পার্টি যদি আলাদাভাবে নির্বাচন করে তাহলে নৌকার মাঝি প্রয়োজন। আমাদের পরিবার সব সময় আওয়ামী লিগের সঙ্গে জড়িত। আমি নিজে খেলাধূলার অঙ্গনে রয়েছি। সামাজিক পরিচিতি-মর্যাদা, পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আশাবাদী।’

তবে মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন না সেটাও ঘোষণা দিয়েছেন, 'দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমার শতভাগ সমর্থন। নেত্রী যাকে দেবেন নৌকার প্রতীক তাকেই আমরা সমর্থন দেব।'

এদিন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ক্রীড়া সংগঠক নাদেলও। বিসিবি’র এই পরিচালক বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। নাদেলের মনোনয়ন সংগ্রহের দিন তার বন্ধু বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু সিলেট-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ক্লাব সংগঠক দুলাল বিশ্বাসও। দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল বিশ্বাস ঝিনাইদহ-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এইচজেএস