ভারতের মোহনবাগানকে হারাল কিংস
রেফারির শেষ বাঁশি। কিংস অ্যারেনায় উল্লাস। হাজার ছয়েক দর্শকে গ্যালারীর প্রায় পুরোটাই ছিল পূর্ণ। কেউ বাংলাদেশের পতাকা, কেউ কিংসের পতাকা নিয়ে চিৎকার করছেন। এএফসি কাপের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়েছে।
গত দুই আসরে মোহনবাগানের জন্যই কিংস এএফসি কাপে গ্রুপের গন্ডি পার হতে পারেনি। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের পর অবশেষে কিংস মোহনবাগানকে হারিয়েছে। চার ম্যাচ শেষে দুই দলেরই সমান সাত পয়েন্ট। গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচ বসুন্ধরা কিংস ও মোহনবাগানের সমান পয়েন্ট থাকলেও হেড টু হেডে কিংস পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে।
বিজ্ঞাপন
নব্বইয়ের দশকে মোহনবাগানকে আবাহনী-মোহামেডান হারিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মোহনবাগানকে বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাব হারাতে পারেনি। সেই অসাধ্য সাধন করেছে কিংস। নিজেদের কিংস অ্যারেনায় অপরাজিত কৃত্তিত্ব বজায় রেখেছে।
কিংসের জয়ের নায়ক অধিনায়ক রবসন রবিনহো। ৭৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে জয় নিশ্চিত করেন কিংসের এই ব্রাজিলিয়ান। মোহনবাগান গোল পরিশোধের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। মদ কান্ডে নিষিদ্ধ থাকা নিয়মিত গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর পরিবর্তে মেহেদী হাসান শ্রাবণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্তভাবে পোস্ট সামলিয়েছেন।
আজকের ম্যাচ ছিল মূলত কিংসের জন্য ফাইনাল। পরের রাউন্ডে যেতে হলে আজ জিততেই হতো। কারণ মোহনবাগানকে আজ স্পর্শ না করতে পারলে বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে হতে পারতো। তাই আজই জেতার শতভাগ চেষ্টা ছিল কিংসের। অন্য দিকে মোহনবাগানের লক্ষ্য ছিল পয়েন্ট নিয়ে ভারত ফেরা।
গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে দুই দলের খেলোয়াড়রাই মেজাজ হারিয়েছেন বারবার। রেফারি পুরো ম্যাচে অর্ধ ডজন কার্ড দেখিয়েছেন। ১৭ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোলে লীড নেয় মোহনবাগান। প্রথমার্ধ সমাপ্তের দুই মিনিট আগেই মিগুয়েলের গোলে সমতা আনে কিংস।
এজেড/এইচজেএস