লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন দুজন, যেখানে শেষ পর্যন্ত আর্লিং হালান্ডকে পেছনে ফেলে ব্যালন ডি আর জিতলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে বর্ষসেরার পুরস্কারটি আরও একবার জিতে নিলেন ফুটবলের এই মহাতারকা। এবার জয়ের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বলতে গেলে শুধু আর্লিং হালান্ড।

গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ে বড় অবদান ছিল হালান্ডের। লিগে ৩৭ ম্যাচে জালের দেখা পান ৩৬ বার। ভেঙে দেন ৩৮ ম্যাচের লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে ১১ ম্যাচে গোল করেন ১২টি। তাকে ছাপিয়ে আরেকবার ব্যালন ডি অর হাতে তুললেন মেসি।

জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমটা সাফল্যমণ্ডিত ছিল মেসির। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় অবশ্যই কাতার বিশ্বকাপ জয়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফের বিশ্বকাপ জেতানোর ক্ষেত্রে আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা।

ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে জোড়া গোলসহ আসরে মোট ৭ গোল করেন মেসি। জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব ‘গোল্ডেন বল।’ গত মার্চে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

পিএসজির জার্সিতে নিজের সেরা ছন্দে না থাকলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতেন মেসি। প্যারিসের দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে মেসি ৭ ম্যাচে চারটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান চারটি। পিএসজি ছেড়ে এই মৌসুমে তিনি যোগ দেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মায়ামিতে।

এইচজেএস