টানা দুই হারের পর বিশ্বকাপের অবিস্মরণীয় এক জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। তাও আবার সেই জয়টা যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এমন জয়ের ম্যাচেও আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গ করায় শাস্তি পেয়েছেন আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দলের হয়ে তিনি সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছিলেন। কিন্তু রান-আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়ার আগে মাঠে একাধিকবার ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন গুরবাজ। যার কারণে তার কপালে জুটেছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ওয়ান ধরনের অপরাধ করেছেন গুরবাজ। সে কারণে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্ৎসনা এবং ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে। চলতি বিশ্বকাপে এটি প্রথম কোনো শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গত রোববার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। সে ম্যাচে ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ১১৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে সেঞ্চুরির পথে ছিলেন গুরবাজ। কিন্তু ইনিংসের ১৯তম ওভারে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝিতে ৫৭ বলে ৮০ রান করে তাকে রান-আউট হয়ে ফিরতে হয়। শহিদীর আহবানে সাড়া দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন এই ওপেনার। আউট হয়ে ফেরার পথে গুরবাজ বাউন্ডারি সীমানার দড়িতে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন। এরপর ডাগআউটে থাকা একটি চেয়ারেও ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন তিনি। 

সে ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার ও বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এছাড়া টেলিভিশন আম্পায়ার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পল রাইফেল, অস্ট্রেলিয়ার পল উইলসন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন। 

আইসিসি জানিয়েছে, কোড অব কন্ডাক্টের ২.২ নম্বর ধারা অনুযায়ী গুরবাজের আচরণ ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে ক্রিকেট সরঞ্জাম বা পোশাক আর মাঠের সরঞ্জামের অবমাননা’। এমন অপরাধের সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা, সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা। সঙ্গে একটি বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্ৎসনা জানিয়েছেন, সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। ফলে সর্বনিম্ন শাস্তিই পেয়েছেন গুরবাজ।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার ২৪ মাসে চার কিংবা তারও বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তিনি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বেন। অবশ্য গত ২৪ মাসের মধ্যে গুরবাজের এটিই প্রথম শাস্তি।

এএইচএস