পুরো বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত। দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করেছে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস। অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চল থেকে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। তাদের টানা তিন দিনের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা সাত শতাধিক।

এমন পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই সমর্থন পাচ্ছে ফিলিস্তিন। ব্যতিক্রম হয়নি ক্রীড়াঅঙ্গনেও। স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচেও দেখা গেল ফিলিস্তিনের সমর্থন। স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় ফুটবল দল সেল্টিকের ম্যাচে দেখা গিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তির বার্তা। 

চলতি সপ্তাহে স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠ সেল্টিক পার্কে কিলমারনকের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সেল্টিক এফসি। সেখানেই ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যানার নিয়ে হাজির হয় দলটির কট্টর সমর্থকগোষ্ঠী ‘গ্রিন ব্রিগেড।’ মাঠে খেলা চলাকালেই তাদের মুখে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান শোনা যায়। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক প্রতিরোধের বিজয়ও কামনা করেছে তারা। 

ইউরোপিয়ান ফুটবলে এমন কট্টরপন্থী সমর্থকদের বলা হয় আল্ট্রাস। দলের জন্য সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ সমর্থকদের নিয়ে গঠন করা হয় এমন বিশেষ গোষ্ঠীর। সেল্টিকের এমন সমর্থকরা পরিচিত গ্রিন ব্রিগেড হিসেবে। 

ম্যাচে সেদিন জয়ও পেয়েছে সেল্টিক। কিনমারনককে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। চলতি মৌসুমে এটি তাদের সপ্তম জয়। ৮ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই আছে সেল্টিক। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেঞ্জার্সের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে আছে দলটি। 

ফুটবল মাঠে ফিলিস্তিনের সমর্থন অবশ্য নতুন কিছু নয়। এফএ কাপ জয়ের পর মাঠে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন লেস্টার সিটির বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তারকা হামজা চৌধুরী। এছাড়া কাতার বিশ্বকাপে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে উৎসব করেছিলেন মরক্কোর ফুটবলাররা। 

এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহের জন্য ইসরায়েলে সব রকম ফুটবল ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। গতকাল সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থগিত হওয়া ম্যাচগুলোর নতুন সূচি পরে জানানো হবে।

সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উয়েফা খুব গুরুত্বের সঙ্গে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে এবং নতুন সিদ্ধান্ত কিংবা সূচি ঘোষণার আগে সব কটি দলের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে।’

জেএ